shono
Advertisement

ভাতারের স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ও ভূগোলের শিক্ষিকার ভিডিও ভাইরাল! উঠছে সাসপেন্ডের দাবি

এ প্রসঙ্গে কী বলছেন দুই শিক্ষক?
Posted: 04:06 PM Jul 15, 2022Updated: 01:28 PM Jul 16, 2022

ধীমান রায়, কাটোয়া: ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে আটের দশকের জয়প্রদা-জীতেন্দ্র অভিনীত ‘তোফা’ ছবির সেই বিখ্যাত গান। তালে তালে দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছেন‌ এক স্কুল শিক্ষক! আর একটি মিম ভিডিওতে অভিনয় করছেন ভুগোলের শিক্ষিকা! এই দুই ভিডিও ঘিরে তোলপাড় পূ্র্ব বর্ধমানের ভাতার। যদিও এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুলবশত আপলোড হয়েছে বলেই দাবি দুই শিক্ষকের।

Advertisement

পূ্র্ব বর্ধমানের ভাতারের বিজিপুর হাই স্কুলের শিক্ষক সুমন্ত দাস। একই স্কুলে ভুগোল পড়ান সুদীপ্তা মল্লিক। বৃহস্পতিবার রাতে দু’জনের দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি ভিডিওতে গানে লিপ মেলাচ্ছেন সুমন্ত। অন্যটিতে অভিনয় করছেন সুদীপ্তা। মূহুর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। শেয়ার করেছেন বহু মানুষ। কেউ লিখেছেন, “এই হচ্ছে আমাদের বিজিপুর হাই স্কুলের গুণধর শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাহলে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের কী হবে? তারা তো umbrella কে amrela বলবেই। এতে দোষের কিছু নেই।”

 

[আরও পড়ুন: দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় JNU, কেন্দ্রের বিচারে প্রথম পাঁচে যাদবপুরও]

সোশ্যাল মিডিয়াতেই কেউ আবার ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার দাবি করেছেন। কারও মতে, বিষয়টি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। ওঁরা স্কুলে ভাল পড়ান। তাই ভিডিওগুলো ভাইরাল না করলেই ভাল হত। বৃহস্পতিবার থেকে ভিডিও নিয়ে তোলপাড় হলেও শুক্রবার পোষ্ট চোখে পড়ে সুমন্তবাবুর। সেখানে তিনি কমেন্ট করেন, “আমি এই ভিডিওটা মজার ছলে মেয়েকে নিয়ে করেছিলাম। আমার মেয়েও একটা ভিডিও করেছিল। দুটো ভিডিও ও পোস্ট করে ফেলে। ২ মিনিট এর মধ্যে আমি দেখে ডিলিট করে দিই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ এটাকে ডাউনলোড করে ফেসবুক (Facebook) বা হোয়াটসআ্যপে শেয়ার করেছে। তাই আমার অনুরোধ এই পোস্টটা ডিলিট করে দিন।” 

অন্যদিকে সুদীপ্তা মল্লিক বলেন, “বাড়িতে আমার সন্তান রয়েছে। সন্তানের মনোরঞ্জনের জন্যও মা হিসাবে কিছু ভূমিকা পালন করতে হয়। তাই আমার ছেলের সঙ্গে ওই ভিডিও তৈরি করেছিলাম। যেটা অনেকদিন আগেই ইনস্ট্রাগামে (Instagram) আমার পার্সোনাল আ্যকাউন্টে পোষ্ট করি। সেটা কীভাবে ভাইরাল হল অবাক লাগছে।” এ বিষয়ে বিজিপুর হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুশান্ত অধিকারী বলেন, “আমার ফেসবুক আ্যকাউন্ট নেই। আমি ভিডিও দুটি দেখিনি। ওই শিক্ষক শিক্ষিকাদের জিজ্ঞাসা করব। প্রয়োজনে তাদের সতর্ক করা হবে। কারণ এই ধরনের ঘটনা ছাত্রছাত্রীদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার