সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতঙ্কের নাম নেকড়ে। উত্তরপ্রদেশের অরণ্য সংলগ্ন গ্রামগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল ‘মানুষখেকো’ নেকড়ের দল! ছজনের দলের মধ্যে পাঁচটি আগেই ধরা পড়েছিল। কিন্তু হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল অবশিষ্ট নেকড়েটি। অবশেষে শনিবার সেটিকে পিটিয়ে মারল উন্মত্ত জনতা। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় 'নেকড়ে আতঙ্কে'র সমাপ্তি ঘটল।
গত ২ মাস ধরে বাহরাইচে আতঙ্কের অপর নাম হয়ে উঠেছিল নেকড়ের দল। রাতের অন্ধকারে নরখাদকের হামলায় ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ১০ জনের। যার মধ্যে ৯ জনই শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে সরকারের তরফে নেকড়ে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। লাঠি হাতে পাহারায় নামেন এলাকাবাসী। দলের ৬ সদস্যের মধ্যে খাঁচা পেতে ৪টি নেকড়েকে ধরা হলেও বাকি দুই নেকড়ের হানায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল এলাকাবাসীর।
গত ১০ সেপ্টেম্বর হরবক্ষ পুরওয়া গ্রামে খাঁচা পেতে নরখাদক দলের পঞ্চম নেকড়েকে আটক করেন বনকর্মীরা। এহেন পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ নেকড়েটিকে কোনও ভাবে ধরতে মরিয়া ছিল স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার একটি শিশুর উপরে হামলা করে ‘মানুষখেকো’ নেকড়েটি। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়ে সে একটি ছাগল শিকার করতে যায়। এর মধ্যে তাকে ঘিরে ফেলে জনতা। পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় প্রাণীটিকে। বন দপ্তর গত ২৪ দিন ধরে তাকে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছিল। অবশেষে মিলল সাফল্য।
বন দপ্তরের আধিকারিক অজিত সিং জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁরা খবর পেয়েছিলে নেকড়েটির হামলা চালানোর। কিন্তু তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান নেকড়ে ও ছাগল, দুটিই সেখানে মরে পড়ে রয়েছে। বন দপ্তর জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি এফআইআর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।