সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনয় মিশ্রকে পাকড়াও করতে এবার বিদেশমন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী বর্তমানে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে লুকিয়ে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় অবসাদ, আত্মঘাতী দিনহাটার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী]
জানা গিয়েছে, ভারতীয় নাগরিক বিনয়ের বর্তমান ঠিকানা নিশ্চিত করা ও প্রত্যর্পণের বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের কাছে সাহায্য চেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি তেমন দাঁড়ালে ভানুয়াতুতে একটি দলও পাঠাতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। তবে এর জন্য নয়াদিল্লি ও পোর্ট ভিলার মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কাজই করবে বিদেশমন্ত্রক। বলে রাখা ভাল, কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে মরিয়া সিবিআই। রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝেও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু এই চক্রের মূল পাণ্ডা বিনয় মিশ্রকে কিছুতেই বাগে আনতে পারছে না কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। পাঁকাল মাছের মতো বারবার তদন্তকারীদের হাত ফস্কে বেরিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত মহারাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র (Pacific Island) ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়েছেন বিনয় মিশ্র। ফলে ভানুয়াতুর নাগরিকের রক্ষাকবচ পেয়ে যাওয়ায় এখন বিনয়কে হাতে পাওয়া মুশকিল। যদিও এই তথ্য জানার পর ভারতীয় বিদেশমন্ত্রককে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। তবে ভানুয়াতুর সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে কি না, থাকলেই বা তা কতটা জটিল, সেসব প্রশ্নও থাকছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে কয়লা এবং গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম মূলচক্রী এই বিনয় মিশ্র।
উল্লেখ্য, প্রায় মাস ৬ আগে, কয়লা (Coal scam) ও গরু পাচার (Cattle smuggling) কাণ্ডের কিনারায় সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র বাংলা ছেড়ে মুম্বই হয়ে পালিয়ে যান দুবাইয়ে। এমনই শোনা গিয়েছিল সেসময়। এরপর একাধিকবার তিনি ভিনদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেই বারবার গা ঢাকা দিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তার ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এই অবস্থায় তাকে জালে আনতে সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিস জারি করার আবেদন জানায়। সেইমতো, রেড কর্নার নোটিসও জারি করা হয়। তারপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে যাওয়ায় বিনয় মিশ্রের নাগাল পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তখন তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোল সিবিআই আদালতে আবেদন জানানো হয়। তা মঞ্জুর হওয়ার পর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই বিনয় মিশ্র সম্পর্কে নয়া তথ্য হাতে আসে সিবিআইয়ের।