সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) আর বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা চলছে এখনও। চলছে আলোচনা। বেরচ্ছে বিভিন্ন রিপোর্ট। প্রকাশ্যে আসা নতুন রিপোর্ট জানা যাচ্ছে, গম্ভীর ও নবীন উল হকের সঙ্গে ঝামেলার পরে বিরাট কোহলি একাধিক বিসিসিআই কর্তাকে ঘটনার বিবরণ জানিয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে কোহলির পুরো ম্যাচ ফি-ই কেটে নেওয়া হয়েছে।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিসিআই কর্তাদের কোহলি জানিয়েছেন, তাঁর হতাশার কথা। পুরো ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া ভাল ভাবে নেননি বিরাট। সেটাই তিনি জানিয়েছেন বোর্ড কর্তাদের। কোহলি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের জানিয়েছেন, ঝামেলার সময়ে তিনি নবীন উল হক বা গম্ভীরকে এমন কিছু বলেননি যার জন্য একশো শতাংশ জরিমানা করা হবে।
[আরও পড়ুন:কাউন্টিতে ফের সেঞ্চুরি পূজারার, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে অজিদের চিন্তায় রাখছেন ভারতীয় তারকা]
আরসিবি পেসার মহম্মদ সিরাজ বাউন্সার দিয়েছিলেন নবীন উল হককে। তাঁর দিকে বল ছোঁড়া হয়। এতেই রেগে যান নভীন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোহলি বোর্ড কর্তাদের জানিয়েছেন, নবীনকে বল ছুঁড়ে মারার জন্য সিরাজকে কোনও নির্দেশ তিনি দেননি। তবে সিরাজকে বাউন্সার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ম্যাচের শেষে ঝামেলায় ঘৃতাহুতি পড়েছিল। কোহলির সঙ্গে সরাসরি লেগে যায় নবীন উল হকের। হাত মেলানোর সময়ে দু’ জনের মধ্যে আরও বড় সড় ঝামেলা হতেই পারত। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সেই সময়ে সরিয়ে দেন নবীনকে। পরে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন কোহলি।
এদিকে লখনউ সুপারজায়ান্টসের ক্রিকেটার কাইল মায়ার্সকে দেখা যায় কোহলির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে হাঁটতে। দু’ জনের মধ্যে কিছু কথাবার্তা হয়। মায়ার্সকে সরিয়ে নিয়ে যান গৌতম গম্ভীর। তার পরেই কোহলির দিকে ধেয়ে যান লখনউ সুপারজায়ান্টসের মেন্টর। সেই ঝামেলার রেশ এখনও চলছে।