সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলির (Virat Kohli) না খেলাটা আসলে শাপে বর হতে পারে ভারতীয় দলের জন্য। অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে মোটেই খারাপ খেলে না ভারত। এমনটাই মনে করছেন কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। তাঁর দাবি, যখনই কোহলি খেলেন না, তখনই ভাল পারফর্ম করেন দলের অন্য তারকারা। গাভাসকরের বিশ্বাস, বিরাটের অনুপস্থিতে রাহানে দলের অধিনায়কত্ব করবেন। আর টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে রাহানের রেকর্ড মোটেই খারাপ নয়।
আসলে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ চলাকালীনই বাবা হতে চলেছেন বিরাট কোহলি। তাই ওই সময় স্ত্রী’র পাশে থাকার জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি চেয়েছেন বিরাট। অজিদের বিরুদ্ধে চার ম্যাচের সিরিজের তিনটি ম্যাচেই খেলবেন না তিনি। বিরাটের এই অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই বহু কাটাছেঁড়া হয়েছে। অনেকেই ভারত অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। কেউ কেউ আবার বিরাটের পাশেও দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু আসল প্রশ্ন হল, কিং কোহলিকে ছাড়া লাগাতার ৩ ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কেমন খেলবে ভারত? অজিদের সামনে কোহলিহীন ভারত আদৌ টিকতে পারবে তো? অধিকাংশ প্রাক্তনীই মনে করছেন বিরাটের অনুপস্থিতি অস্ট্রেলিয়ায় ভোগাবে ভারতকে। যদিও সুনীল গাভাসকর তেমনটা মনে করছেন না।
[আরও পড়ুন: ক্রিকেট ফিরতেই জোড়া বড় সিদ্ধান্ত ভারতীয় বোর্ডের, খুশি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার]
গাভাসকর বলছেন,”নিঃসন্দেহে কোহলির অনুপস্থিতি বড় ধাক্কা। কিন্তু যদি ভাল করে ভাবা হয়, তাহলে দেখা যাবে, যখনই কোহলি খেলেনি তখনই ভারত জিতেছে। ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতেছে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতেছে, নিদাহাস ট্রফি, এশিয়া কাপ সব জিতেছে। আসলে বিরাট না থাকলে বেশি ভাল খেলেন বাকি তারকারা। তাঁরা বিরাটের অভাব পূরণ করার চেষ্টা করেন।” গাভাসকর মনে করছেন, কোহলির অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক যে রাহানেই (Ajinkya Rahane) হবেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি বলছেন,”রাহানে এবং পুজারার জন্য এটা কঠিন সিরিজ হতে চলেছে। ওদের অনেক ভাল খেলতে হবে। আমার মনে হয় অধিনায়কত্ব রাহানেকে সাহায্য করবে। ও ম্যাচটা আরও ভাল ধরতে পারবে।”
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকাকালীনই পিতৃহারা টিম ইন্ডিয়ার পেসার, ফেরা হল না শেষযাত্রাতেও]
এদিকে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইপিএল জয়ের পর থেকেই রোহিত শর্মাকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক করার দাবি উঠছে। সেটা নিয়েও ক্রিকেট মহলে আলোচনা কম হচ্ছে না। কিন্তু হিটম্যানকে অধিনায়ক করার এই দাবির মধ্যে কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব। তাঁর সাফ কথা, এক সংস্থায় দু’জন সিইও থাকতে পারেন না। বিরাট যদি টি-২০ খেলেন তাহলে তাঁরই অধিনায়ক হওয়া উচিৎ।