সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা নটি টেস্ট সিরিজ জয়। ওয়ানডে সিরিজে জয় টানা আটটিতে। ভারতীয় ক্রিকেট দল যে সোনালি সময়ের মধ্যে চলেছে, তা বলাই যায়। এই ট্রেন্ড বজায় থাকবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেও ভারতের জয়রথ অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ম্যানেজার লালচাঁদ রাজপুত।
[ মধুচন্দ্রিমার পর এবার ভাইরাল বিরুষ্কার এই ছবি ]
বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারতীয় দল অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এই দলের মধ্যে একদিকে যেমন ফুরফুরে মেজাজ আছে। অন্যদিকে তেমনই আছে আগ্রাসী মনোভাব। দলের মধ্যে যা চারিয়ে দিয়েছেন নেতা কোহলি। বলা যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যদি ভারতীয় দলকে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়তে শেখান, তবে ধোনি দিয়েছেন ঠাণ্ডা মাথায় প্রতিপক্ষকে বধ করার মন্ত্র। আর এ দুয়ের মিশেল দলে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিরাট। পারফরম্যান্স দিয়েই বিপক্ষকে কাবু করছে তাঁর দল। সেই সঙ্গে মানসিকতায় আমূল পরিবর্তন। ভরপুর আত্মবিশ্বাস। এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে ‘আমরাই জিতব’ মনোভাব। বিরাট নিজে এই মন্ত্রে বিশ্বাস করেন। যে দল তিনি নিজে হাতে গড়েছেন, তার অধিকাংশ সদস্যও সেই মন্ত্রে বিশ্বাসী। ফলে গোটা দলটিই একটা অন্য মেজাজে চলছে। সাম্প্রতিক সাফল্যই তার প্রমাণ দিচ্ছে। এরই প্রশংসায় দলের প্রাক্তন ম্যানেজার।
[ শিখরে বাংলা, প্রথম বাঙালি হিসাবে সাতটি শৃঙ্গ জয় সত্যরূপ সিদ্ধান্তর ]
লালচাঁদের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বিরাটের এই আগ্রাসী মনোভাবই ভারতের ইউএসপি হয়ে উঠবে। যে কোনও মূল্যে জিততেই হবে, বিরাটের এই ভাবনা দলের বাকি সদস্যদের মধ্যেও ছড়িয়েছে। এই আগ্রাসন নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তুলনামূলক কঠিন সিরিজেও ভারতেরই জয় দেখছেন তিনি।
[ এক ক্যালেন্ডারে ১৮ জন ক্রীড়াবিদের নগ্ন ছবি! এমন জিনিসের মালিক হতে চান? ]
বিরাটের প্রশংসার পাশাপাশি হার্দিক পাণ্ডিয়াকেও দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, নিঃসন্দেহে হার্দিক একজন ‘গেম চেঞ্জার’। সেইসঙ্গে টেস্টে জিততে গেলে ২০টি উইকেট পকেটে পুরতে হয়। ফলে বোলাররা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে ভুবনেশ্বর তাঁর সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। উমেশ যাদব থেকে শামি কিংবা যশপ্রীত বুমরাও যে কোনও মুহূর্তে খেলার রং বদলে দিতে পারেন। ফলত, ভারতের সিরিজ জয় খুব শক্ত হবে না বলেই মনে করছেন তিনি। অজিঙ্ক রাহানের হয়েও ব্যাট করেছেন লালচাঁদ। সাম্প্রতিক ফর্ম ভাল নয় রাহানের। তবে লালচাঁদের মতে, বিদেশের মাটিতে অজিঙ্কের মতো উঁচুদরের ব্যাটসম্যান জ্বলে উঠতে পারেন। কয়েক ঘণ্টা ক্রিজে কাটালেই বড় রান শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর এই সবকিছুকে একসঙ্গে বাঁধতে পারেন নেতা কোহলি। তাই তাঁর আগ্রাসনই ভারতের ইউএসপি হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তিনি।
The post দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের ইউএসপি বিরাটের অ্যাগ্রেসন, মত বিশেষজ্ঞদের appeared first on Sangbad Pratidin.