রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: ছাত্রের ফোন বন্ধ। সুইচড অফ। শত চেষ্টা করেও বিরাট কোহলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি অপসারিত ভারত অধিনায়কের ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা (Rajkumar Sharma)। কিন্তু তাতে কী? অসন্তোষের গরল ভাল রকম বহমান। যে ভাবে কোহলির ওয়ানডে অধিনায়কত্বের রাজমুকুট কেড়ে নিয়েছে সৌরভের বোর্ড, দেখে রীতিমতো রুষ্ট রাজকুমার।
সোজাসুজি বললে, বিরাটের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব যাওয়ার বাহাত্তর ঘণ্টা পরেও অগ্নুৎপাত তো থামছেই না, উলটে রীতিমতো দিনের পর দিন বাড়ছে। ক্রিকেট সমর্থকরা দ্বিখণ্ডিত। ক্রিকেটমহলে দু’টো শিবির হয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা একের পর এক মুখ খুলছেন। কোনও দিন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান সন্দীপ পাটিল বলছেন, শচীন তেণ্ডুলকরকে (Sachin Tendulkar) পর্যন্ত যখন এককালে ছাড়া হয়নি, তা হলে কোহলি কে? পালটা দিয়ে ভারতের প্রাক্তন কোচ মদন লাল আবার উষ্মা দেখিয়েছেন যে, কোহলি যখন ভাল করছিলেন, তখন তাঁকে সরানোর কোনও দরকার ছিল না। একটা টিম তৈরি করা যতটা কঠিন, ভেঙে ফেলা ঠিক ততটাই সহজ। এ দিন আবার বিরাট বিতর্কে ঢুকলেন কোহলির (Virat Kohli) ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা।
[আরও পড়ুন: ‘কোহলিকে অপমান করেছে বিসিসিআই’, ভারতীয় টেস্ট অধিনায়কের পাশে কানেরিয়া]
রাজকুমার একেবারে চাঁচাছোলা। এক পডকাস্টে তিনি সৌরভের বোর্ডকে আক্রমণ করে বলেছেন, “যা হল বিরাটের সঙ্গে, দেখে খুব করুণা হচ্ছে বোর্ডের জন্য। রেকর্ড দেখুন। ভারতের সবচেয়ে সফল ওয়ানডে অধিনায়কের নাম কিন্তু বিরাট কোহলি। আর সৌরভ বিবৃতি পেশ করতে গিয়ে যা বলল, শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলাম। সৌরভ (Sourav Ganguly) বলেছে যে, ওরা নাকি বিরাটকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে বারণ করেছিল। কোথায়, আমি অন্তত এ রকম কিছু শুনিনি। সত্যি বলতে, সৌরভের বিবৃতি দেখে চমকে গিয়েছি। কত রকম বিবৃতিই না ভাসছে চতুর্দিকে।”
[আরও পড়ুন: ‘তোমরাই সেরা’, চেন্নাইয়িন ম্যাচের আগে ফুটবলারদের তাতালেন সবুজ-মেরুন কোচ হাবাস]
দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়। কোহলির কোচ বলে দিয়েছেন যে, ওয়ানডে নেতৃত্ব যাওয়ার পর ছাত্রকে ফোন করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পাননি। “কোহলির ফোন বন্ধ। কথা হয়নি এখনও। বিরাট কিন্তু বলেছিল, শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ছে। নির্বাচকরা তখনই বলতে পারত যে, ছাড়তে হলে সাদা বলের ক্যাপ্টেন্সি পুরোটাই ছাড়ো। নইলে একটাও ছেড়ো না। কোথায়, সে সব তো কিছু বলা হয়নি?”