সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের কাছে আফগানিস্তান হেরে যাওয়ায় টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) থেকে বিদায় নিল ভারত। ভারতের বিদায়ের পরে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রেন্ডিং বিরাট কোহলি। আজ, সোমবার নামিবিয়ার সঙ্গে ভারতের ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল। টি টোয়েন্টিতে ক্যাপ্টেন হিসেবে এটাই শেষ ম্যাচ কোহলির। রবি শাস্ত্রীরও কোচ হিসেবে এটাই শেষ ম্যাচ। বিশ্বকাপের পরে রাহুল দ্রাবিড় দলের রিমোট কন্ট্রোল হাতে তুলে নেবেন। কোহলির দল ছিটকে যাওয়ার পরেই ভারত অধিনায়ক সম্পর্কে নানা খবর প্রকাশিত হচ্ছে। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা অজানা গল্প বের করছেন তাঁদের ঝুলি থেকে। এরকমই একটি কাহিনি বলেছেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sehwag)। সেটাও অবশ্য অনেক আগেই ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে বলেছিলেন বীরু। ভারত ছিটকে যাওয়ার পরে তা আরও একবার নতুন করে ভেসে উঠেছে।
ঘটনাটা কী? বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এখন বিশ্বের সেরা ব্যাটার। কিন্তু কেরিয়ারের গোড়ার দিকে তাঁরও সময়টা ভাল যাচ্ছিল না। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক সিরিজে তিনটি টেস্ট ম্যাচে সাকুল্যে ৭৬ রান করেন কোহলি। তার পরেই তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেই বছরেরই শেষের দিকে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে দলে ফেরেন কোহলি।
[আরও পড়ুন: T-20 WC 2021: ফের নিউজিল্যান্ড কাঁটাতেই বিদ্ধ ভারত, আফগানদের হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় কোহলিদের]
পরের বছর অস্ট্রেলিয়া সফরে যান কোহলি। স্যর ডনের দেশে অন্যান্য ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মতোই তিনিও সামলাতে পারছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। তৃতীয় টেস্টের ঠিক আগে তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় ভারতীয় দলের সাজঘরে। তাঁকেই হয়তো বসাতেন নির্বাচকরা। কিন্তু সেই যাত্রায় কোহলির পাশে এসে দাঁড়ান বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কোহলির পাশে দাঁড়ানোর সেই গল্পই বীরু বলেছিলেন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে।
২০১৬ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময়ে ধারাভাষ্যকার শেহওয়াগ সেই কাহিনি তুলে ধরে বলেছিলেন, ”২০১২ সালে পার্থে নির্বাচকরা কোহলির জায়গায় রোহিত শর্মাকে খেলাতে চেয়েছিল। সেই সময়ে আমি সহ অধিনায়ক ছিলাম। ধোনি ছিল অধিনায়ক। আমরা কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তার পরের ঘটনা ইতিহাস।” সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রান করেছিলেন কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৭৫ রান। ভারত অবশ্য সেই টেস্ট ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ইনিংস ও ৩৭ রানে। চতুর্থ টেস্টে শতরান করেন কোহলি। ত্রিদেশীয় সিরিজেও কোহলির দুর্দান্ত ফর্ম বজায় ছিল। ৮টি ম্যাচে ৩৭৩ রান করেন কোহলি। ত্রিদেশীয় সিরিজে কোহলির দুরন্ত ফর্মের জন্যই এশিয়া কাপে সহ অধিনায়ক করা হয় তাঁকে।
ধোনি নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে দেশের অধিনায়কত্ব পান। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্টে অধিনায়ক কোহলির ব্যর্থতা বারবার চোখে পড়েছে। এবারও টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যেতে হয়েছে কোহলির ভারতকে।