ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) বাড়ির জমি বিতর্কে ফের নোবেলজয়ীকেই নিশানা করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে আবারও জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ইস্যু নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ফোন করেছিলেন উপাচার্যকে। বিষয়টি নিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে।
যদিও এর আগে বিশ্বভারতীর এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে অমর্ত্য সেন জানিয়েছিলেন, প্রতীচীর জমি নিয়ে কারও সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন VBFU-র তরফে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য আগে এ বিষয়ে অমর্ত্য সেনকে ই-মেল করে তাঁর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জবাবে উপাচার্যের দাবি উড়িয়ে দেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো ফের একই দাবি তুললেন। এ নিয়ে একটি প্রেস রিলিজও দেওয়া হয় সাংবাদিকদের। জমি বিতর্কে এদিন রাজ্য সরকারকেও কটাক্ষ করেছে বিশ্বভারতী।
[আরও পড়ুন: ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মী না হয়েও করোনা টিকা নিলেন কয়েকজন বিধায়ক! ক্ষোভপ্রকাশ বিজেপির]
বিতর্কের সূত্রপাত বেশ কয়েকদিন আগে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিক অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র জমির খানিকটা অংশ বিশ্বভারতীর। এমনই অভিযোগ তুলে বিতর্কে জড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই জমি পুনরুদ্ধারে বিশ্বভারতী পদক্ষেপ নিতে চায়। প্রবাসী অমর্ত্য সেনের কাছে পৌঁছয় এই খবর। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁকে ফোন করেছিলেন নোবেলজয়ী। কিন্তু সেই দাবি সোজা উড়িয়ে দিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। এ নিয়ে বিতর্ক উসকে ওঠে। জমি ইস্যুতে অমর্ত্য সেনকে এমন অপমানের মুখে পড়তে হওয়ায় পরবর্তীতে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে অমর্ত্য সেন-বিশ্বভারতীর মধ্যে পরোক্ষে চাপানউতোরও চলে।
[আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে প্রথম করোনা টিকা প্রাপকদের তালিকায় বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী! তুমুল বিতর্ক]
শনিবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক সম্মেলন ফের একই দাবি করে। একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে জানানো হয়, জমি ইস্যুতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ফোন করে ছিলেন অর্মত্য সেন। তাঁর বাড়ির কাছে দোকানগুলি উচ্ছেদ করতে বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তিনি। এদিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অর্মত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের যে অভিযোগ তারা এনেছে, তা রাজ্য সরকারের ভূমি দপ্তর চাইলে তাঁর এবং বিশ্বভারতীর মধ্যে জমি বিতর্কের সমাধান করতে পারে। অর্থাৎ, জমি দখলের অভিযোগ যে খতিয়ে দেখছে না রাজ্যের ভূমি দপ্তর, পরোক্ষে তা উল্লেখ করে রাজ্যের ভূমিকাকে বিঁধল বিশ্বভারতী।