নন্দন দত্ত, বীরভূম: বিশ্বভারতী ও অর্মত্য সেনের জমিজট যেন কিছুতেই কাটছে না। এবার নোবেলজয়ীকে উচ্ছেদের নোটিস ধরাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চিঠি পাঠিয়ে আগামী ২৯ মার্চ অমর্ত্য সেন বা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে হাজির হতে বলা হয়েছে বলেই খবর। সেখানেই হবে শুনানি।
জানা গিয়েছে, যদি অমর্ত্য সেন বা তাঁর পক্ষ থেকে কেউ শুনানিতে হাজির না হন সেক্ষেত্রে একতরফা হিসেবে ঘোষিত হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। এমনটা জানানো হয়েছে চিঠিতেও। বিশ্বভারতীর স্পষ্ট বক্তব্য, অমর্ত্য সেনের পিতা আশুতোষ সেনকে ৯৯ বছরের জন্য দেওয়া হয়েছিল সম্পত্তি। পুরো সম্পত্তি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথা জাতীয় সম্পত্তি এবং বিশ্বভারতী স্বত্বাধিকারী মালিক বলে উল্লেখিত। অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে পাঠানো চিঠিতে তাঁকে ১৩ ডেসিমেল জমির জবরদখলকারী বলা হয়েছে এবং জমি ফেরত দেওয়ার উপদেশ কথাও বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মামাতো ভাইয়ের শিক্ষকতার ‘অবৈধ’ চাকরি! জেনে ফেলতেই খুন দুর্গাপুরের গোটা পরিবার? উঠছে প্রশ্ন]
গোটা বিষয়টি বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনী সকলেই কর্তৃপক্ষের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বলে মনে করছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে বিষয়টি বিচারাধীন থাকাকালীন কীভাবে দখলমুক্তের নোটিস, সেই প্রশ্ন উঠছে। অমর্ত্য সেন বর্তমানে বিদেশে। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী জানান, “এখনও পর্যন্ত আমাদের হাতে কোনও চিঠি আসেনি। জমির জবর দখলের কোনও প্রশ্নই নেই। রেকর্ড রয়েছে অমর্ত সেনের পিতা আশুতোষ সেনের নামে। রেকর্ড সংশোধন হলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”