সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হেরেছে বিজেডি। আড়াই দশক পরে মসনদ খুইয়েছেন নবীন পট্টনায়েক। এবার রাজনীতি ছাড়লেন ওড়িশার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে ওঠা ভি কার্তিকেয়ান পান্ডিয়ান। নবীনের 'ছায়া' পান্ডিয়ান বিজেডির বিপর্যয়ের পরই জানিয়ে দিলেন তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। বিজেডি নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন পান্ডিয়ান। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন ওড়িশা ও জগন্নাথের প্রতি তাঁর হৃদয় চিরকাল উৎসর্গীকৃত থাকবে।
রবিবার দুপুরে একটি ভিডিও বার্তায় সকলকে এই খবর জানান তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''ওড়িশায় যেদিন এসেছিলাম সেদিন থেকেই এখানকার মানুষের বিপুল ভালোবাসা পেয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য কাজ করার। বারো বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে যোগ দিই। ওঁর সঙ্গে কাজ করাটা এক সম্মানের বিষয়। ওঁর কাছ থেকে যে অভিজ্ঞতা, যে শিক্ষা অর্জন করেছি তা সারা জীবনের সম্পদ। ওঁর প্রত্যাশা ছিল ওড়িশার মানুষের প্রতি ওঁর দর্শনকে বাস্তবায়িত করা। আমরা দুজনে মিলে অনেক মাইলফলক পেরিয়েছি।''
[আরও পড়ুন: শপথগ্রহণের আগে মোদির ‘চায়ে পে চর্চা’, সম্ভাব্য মন্ত্রী কারা?]
কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ পান্ডিয়ানের? সেপ্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ''আমি আবার বলছি যে আমি রাজনীতিতে এসেছি আমার পরামর্শদাতা নবীন পট্টনায়েককে নির্বাচনের আগে সাহায্য করার জন্য। এবং আমার কোনো ইচ্ছা ছিল না, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পদ বা ক্ষমতার জন্য। সেজন্য আমি বিজু জনতা দলের প্রার্থীও ছিলাম না, কোনও পদেও ছিলাম না। আমার রাজনীতিতে আসার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল নবীনবাবুকে সাহায্য করা। আর এবার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার।''
প্রসঙ্গত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে গোটা দেশে বিজেপি তথা এনডিএর ফল প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটকের পাশাপাশি ওড়িশাতেও দারুণ ফলাফল করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভাতেও বিপর্যস্ত বিজেডি। নবীন পট্টনায়েকের রাজনৈতিক কেরিয়ার কার্যতই গভীর সংকটে। এই পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান রাজনীতিকের 'ছায়া' হয়ে ওঠা পান্ডিয়ানও ছাড়লনে দল তথা সক্রিয় রাজনীতিই।