সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটাও মনে হয় একটা ইতিহাস। ভারতীয় ক্রিকেটে আগে যা ঘটেনি, এবার তাই হতে চলেছে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির আবেদনে সাড়া দিয়ে বিদেশ সফরে স্ত্রী-বান্ধবীদের যাওয়ার অনুমতি দিল ক্রিকেট বোর্ড। তবে সিরিজের শুরুতেই তাঁরা যেতে পারবেন না। ক্রিকেটাররা যাওয়ার দশদিন পর তাঁরা দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন। এবং থাকতে পারবেন বাকি সিরিজ। বুধবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এ ব্যাপারে সিলমোহর দিল।
[বিরাটের পর রোহিত, খেলা চলাকালীন মাঠে ঢুকে হিটম্যানকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা!]
সিওএ কর্তা বিনোদ রাই সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলার পর সবুজ সংকেত দিলেন। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরে ক্রিকেটাররা ইচ্ছে করলে স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে যেতে পারেন। অধিনায়কের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়মে বদল আনল বিসিসিআই। নিয়মে ক্রিকেটাররাই নন, কোচ-সাপোর্ট স্টাফরাও থাকছেন। তাঁরাও মনে করলে প্রিয়জনদের নিয়ে যেতে পারেন। বিদেশ সফরে এতদিন ক্রিকেটারদের স্ত্রী-বান্ধবীরা কুড়ি দিনের বেশি থাকতে পারতেন না। এটাই ছিল বোর্ডের নিয়ম। সেই নিয়মে বদল আনতে উদ্যোগী হন ভারত অধিনায়ক। বিদেশ সফরে পুরো সময়ের জন্য স্ত্রীকে পাশে চেয়ে তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন। বাকি ক্রিকেটাররাও অধিনায়কের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। হায়দরাবাদে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে সিওএ প্রধান বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে বসেছিলেন কোহলি-শাস্ত্রীরা। সেদিন মিটিংয়ের পর মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বললেও বোর্ডকে সবুজ সঙ্কেত দিতে দেরি করলেন না। তাঁর অনুমতি মিলতেই সব পাস।
প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ নিয়মে বদল কেন? সরাসরি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না গেলেও জানা গিয়েছে, লম্বা সফরে স্ত্রী-বান্ধবীরা পাশে থাকলে ক্রিকেটারা মানসিক দিক থেকে চাঙ্গা থাকতে পারেন। কারণ, সবচেয়ে ভাল সমর্থন তাঁরাই জোগাতে পারেন। সফরে পারফরম্যান্সে ঘাটতি হলে স্ত্রী বা বান্ধবীরা পাশে থেকে উজ্জীবিত করতে পারেন। মাঠ থেকে হোটেলে ফিরে ঘরে একা বসে ক্রিকেটাররা আরও চাপে পড়েন। সেই চাপ স্ত্রী-বান্ধবীরা সহজে কাটিয়ে দিতে পারেন। এসবই সিওএ প্রধান বিনোদ রাইকে মিটিংয়ে বোঝান শাস্ত্রী-রোহিতরা। সেদিন মিটিংয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ডাকা হয়েছিল
রোহিত-রাহানেকেও। সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে সিওএ প্রধানের মনে হয়েছে, নিয়মে বদল আনলে ক্রিকেটারদেরই ভাল হবে। এবং তাঁরা ভাল থাকলে দলের পারফরম্যান্সও ভাল হবে। তাই সবুজ সঙ্কেত দিতে পিছিয়ে যাননি সিওএ কর্তা। তবে দশদিন পর কেন? এর উত্তর পাওয়া যায়নি।
স্ত্রী-রা ক্রিকেটারদের সঙ্গে আগেও বিদেশ সফরে যেতেন। তবে বান্ধবীরা দলের সঙ্গে ঘুরছেন, এমন ঘটনা শোনা যায়নি। তাই কোহলির সঙ্গে তাঁর বান্ধবী অনুষ্কা দলের সঙ্গে ঘুরতে কথা উঠেছিল। এ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কোহলি। সৌরভ-রাহুলদের জমানায় স্ত্রীরা সঙ্গে থাকতেন। সেদিক থেকে দেখলে ব্যাপারটা চোখে পড়ে না। কিন্তু বান্ধবীদের ব্যাপারটি ভারতীয় ক্রিকেটে দেখা যায়নি। বোর্ড এবার সিলমোহর দেওয়ায় আর বাধা রইল না। এটাই নতুন লাগল। তাই নিয়মে বদল এনে বিনোদ রাইও ইতিহাসের সঙ্গী হয়ে থাকলেন। বিদেশি দলের দিকে তাকালে এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু আমরা তো সে সব দেখতে অভ্যস্ত নই। তাই এটাই বদলে পাস করিয়ে দেওয়া হল।
The post কোহলির আবেদনে সায় বোর্ডের, বিদেশ সফরে স্ত্রী-বান্ধবীদের ছাড় appeared first on Sangbad Pratidin.