সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাবার নিয়ে অশান্তি। আর তার জেরেই রেস্তরাঁর ম্যানেজার ও সাফাইকর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল আরেক কর্মী। প্রমাণ লোপাট করতে রেস্তরাঁর জলের ট্যাঙ্কে দেহ দুটি ফেলে রেখেছিল অভিযুক্ত। নিজেকে বাঁচাতে অন্য রেস্তোরাঁতে কাজ শুরু করে সে। থানের জোড়া খুনের মামলার তদন্ত নেমে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। মাত্র ছদিনের মধ্যেই খুনিকে হাজতে পুড়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
৩০ মে থানের এক রেস্তরাঁ ম্যানেজার হরিশ শেট্টি ও সাফাইকর্মী নরেশ পন্ডিত খুন হন রেস্তরাঁর জলের ট্যাংক থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। খুনির হদিশ পতে তদন্তে নামে পুলিশ। জানতে পারেন খাবারের গুনমান নিয়ে রেস্তোরাঁরই এক কর্মীর সঙ্গে মৃত দুজনের বচসা হয়েছিল। সেই কর্মী রেস্তোরাঁ ছেড়ে চলে গিয়েছে। পুণে থেকে অভিযুক্ত কাল্লু যাদবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই গোটা রহস্যের পর্দা ফাঁস হয়।
[আরও পড়ুন : বিপদ এখনও কাটেনি, বর্ষার সময় আবার ফিরে আসতে পারে পঙ্গপালের ঝাঁক]
অভিযুক্ত কাল্লুকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, থানের মিরা রোডের রেস্তরাঁয় ওয়েটারের কাজ করত সে। সেখানেই থাকত। খাবারও দেওয়া হত রেস্তরাঁ থেকে। কিন্তু পচাগলা, ঠান্ডা খাবার খেতে দেওয়া হত তাকে। এ নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার তর্কাতর্কিও হয় তার। এরপরই ম্যানেজার ও সাফাইকর্মীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আঁটে সে। পুলিশ জানিয়েছে, দুজন যখন ঘুমচ্ছিলেন কোদাল নিয়ে চড়াও হয় কাল্লু। কুপিয়ে খুন করে তাদের। পরে জলের ট্যাংকে দেহ লুকিয়ে রেখে চম্পট দেয় সে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের তৎপরতায় আপাতত শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে তার।
[আরও পড়ুন : বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচিত হতে চলেছে ভারত]
The post পাতে পচা খাবার, রেস্তরাঁর ম্যানেজার ও এক কর্মীকে কুপিয়ে খুন করল পরিচারক appeared first on Sangbad Pratidin.