সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, বিয়ে নাকি সাত জন্মের বন্ধন। তবে সত্যিই কি তাই? কত সম্পর্কই তো চেনা স্রোত হারায়। বর্তমান যুগে বিবাহবিচ্ছেদ যেন কোনও বড় ব্যাপারই নয়। ডিজিটাল যুগে সম্পর্কও যেন খুব সহজেই উষ্ণতা হারাচ্ছে। অল্প সময়েই বাড়ছে দু’টি মানুষের দূরত্ব। তা বলে যে কোনও সম্পর্ক টিকছে না তা তো নয়। বিচ্ছেদ নয় সুস্থ সম্পর্ক অটুট থাকুক, সেটাই চান বেশিরভাগ দম্পতি। তাই কাছের মানুষের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজগুলি অবশ্যই করুন। তাহলেই দেখবেন হাজার ব্যস্ততার মাঝেও আপনার প্রতিটি রাতই হয়ে উঠছে এক্কেবারে প্রথমদিনের মতো।
বর্তমানে বেশিরভাগ দম্পতিই চাকরি করেন। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত হওয়ায় কাজের সময়ও এক হয় না। স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর জন্য স্ত্রীর কিংবা স্ত্রীর জন্য স্বামীর অপেক্ষা করার সময় ক্রমশই কমছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি একসঙ্গে ঘুমোতে যাওয়া। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সারারাত ঘুমোলে সম্পর্কের বন্ধন নাকি অত্যন্ত দৃঢ় হয়। অবলীলায় কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে বছরের পর বছর।
কেরিয়ারের ইঁদুরদৌড়ে শামিল হতে গিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ ক্রমশ কমছে। বাড়ির লোকেদের সঙ্গে আদৌ কতটুকু সময়ই বা কাটাতে পারি আমরা। দিনের সিংহভাগ সময়ই গ্রাস করে নিয়েছে অফিস। এভাবে কি আর সুখী দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব? তাই তো বেশিরভাগ কর্মব্যস্ত স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে চিড় ধরছে অনায়াসেই। সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে আজই সাবধান হোন। হাজার ব্যস্ততার মাঝে দিনের কিছুটা সময় নিজেদের জন্য বের করে নিন। অফিসের কাজ বাড়িতে বসে সেরে নেওয়ার অভ্যাস আজই ত্যাগ করুন। দরকার হলে নিজেদের একান্ত সময়ে স্মার্টফোন সুইচড অফ করে রাখুন। পারলে শোওয়ার ঘরে মোবাইল নিয়ে ঢোকাও বন্ধ করে দিন।
[আরও পড়ুন: সিগারেটে কালো ফুসফুস, দান করা অঙ্গ ফেরালেন চিকিৎসকরা]
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ঝগড়াঝাটি হবে না তা কার্যত অসম্ভব। দাম্পত্য সমীকরণ আজীবন প্রথমদিনের মতো রাখতে চাইলে ভুলেও ঝগড়া জিইয়ে রাখবেন না। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঝগড়াঝাটি হলে তা মিটিয়ে নিন রাতেই। নইলে দেখবেন পরেরদিন কাজেও মন বসছে না আপনার। আর সময় যত গড়াবে ছোট্ট বচসা থেকেই তৈরি হবে তিক্ততা। ক্রমশই বিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যাবেন আপনি।
The post সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখতে চান? ঘুমের সময় এই কাজগুলি করতে ভুলবেন না appeared first on Sangbad Pratidin.