সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসের আক্রমণে রক্তাক্ত ইজরায়েল। গাজা ভূখণ্ড থেকে লাগাতার রকেট হামলা চালাচ্ছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠনটি। তবে বিপদের শেষ এখানেই নয়। এবার লেবানন থেকে আক্রমণ শুরু করেছে সন্ত্রাসবাদী দল হেজবোল্লা। ইজরায়েলি ফৌজকে নিশানা করছে সিরিয়ার গোলন্দাজ বাহিনীও। অর্থাৎ, তিনটি ফ্রন্টে যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে ইহুদি দেশটির সেনাকে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার রাতে লেবানন সীমান্তবর্তী ইজরায়েলি শহর বেইট শিয়ান, সাফেদ এবং টাইবেরিয়াসের উপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, লেবাননের শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবোল্লা ড্রোন হানা চালিয়েছে ইজরায়েলে। মঙ্গলবার থেকেই ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে সিরিয়ার গোলন্দাজ বাহিনী। এখনও ঘোষিতভাবে লড়াই শুরু না হলেও যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে। আর এমনটা হলে তিন ফ্রন্টে পুরোদমে যুদ্ধ চালাতে হবে ইহুদি দেশটির সেনাকে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে খুন পাঠানকোট হামলার মূলচক্রী শহিদ লতিফ]
রয়টার্স সূত্রে খবর, প্যালেস্তিনীয় (Palestine) জঙ্গি সংগঠন হামাসকে মদত দিচ্ছে লেবাননের হেজবোল্লা। গত সোমবার থেকেই ইজরায়েলি ফৌজের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট এই শিয়া মৌলবাদী দলটির। আইডিএফ-এর পালটা মারে সেদিনই নিহত হয় তিন হেজবোল্লা যোদ্ধা। উল্লেখ্য, লেবাননের অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হেজবোল্লা বাহিনীতে রয়েছে লক্ষাধিক যোদ্ধা।
অন্যদিকে, শনিবার হামাসের হামলা শুরুর পর ৩ লক্ষ ‘রিজার্ভ ফোর্স’ বা অতিরিক্ত বাহিনী জমায়েত করেছে তেল আভিভ। হাতিয়ার ও বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে ইহুদি দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। সমর্থন জানিয়েছে ভারত, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোও। প্রসঙ্গত, অতীতেও একাধিকবার ‘মাল্টিফ্রন্ট ওয়ার’ বা বহুমুখী যুদ্ধ করেছে ইজরায়েল। ১৯৬৭ সালে ছ’দিনের যুদ্ধে মিশর, সিরিয়া ও জর্ডন-সহ আরব দেশগুলোকে কুপোকাত করে ইজরায়েল। ১৯৭৩ সালেও ইয়ম কিপুর যুদ্ধে আরব দেশগুলোকে পরাস্ত করে ইহুদি রাষ্ট্রটি।