সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ (Akhil Bharatiya Akhada Parishad) প্রধান মোহন্ত নরেন্দ্র গিরি মহারাজের (Narendra Giri) মৃত্যুতে ক্রমেই রহস্য দানা বাঁধছে। কেন চরম পথ বেছে নিতে হয়েছিল তাঁকে? পুলিশ জানিয়েছে, বর্ষীয়ান ধর্মগুরুর সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর মর্ফ করা ছবির। তিনি এও জানিয়েছেন, ওই ছবিটির কারণেই প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সুইসাইড নোটে তাঁর মৃত্যুর জন্য তিনজনকে দায়ী করা হয়েছে। তিনজনই নরেন্দ্র গিরির শিষ্য। ওই তিন অভিযুক্ত আনন্দ গিরি, আদ্য তিওয়ারি ও সন্দীপ তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুইসাইড নোটে দু’বার উল্লেখ করা হয়েছে মহিলার সঙ্গে নরেন্দ্র গিরির মর্ফ করা ছবির কথা। যা থেকে পরিষ্কার, কতটা সমস্যায় ছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, আনন্দ গিরি হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করে দেবেন।
[আরও পড়ুন: নজরে চিন-আফগানিস্তান, মার্কিন সফর শুরুর আগে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]
সেই ‘বদনামে’র ভয়ই শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র গিরিকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করছে বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, লজ্জা মাথায় নিয়ে বেঁচে থাকার চাইতে মরে যাওয়া ভাল। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, তহবিল তছরুপের মিথ্য়ে অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে তুলেছিলেন আনন্দ।
গতকাল, সোমবার থেকেই কোনও খোঁজ মিলছিল না নরেন্দ্র মহারাজের। তাঁর ঘর ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বারবার ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় সন্দেহ দানা বাঁধে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ প্রথমে ঘরের দরজা ধাক্কা দেয়। তবে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি তাঁর। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রধান মোহন্ত নরেন্দ্র গিরি মহারাজকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। অবাক হয়ে যান প্রায় সকলেই। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। সেই সময়ই তাঁর ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়।