অর্ণব আইচ: সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ওয়াটগঞ্জে মৃত মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করল পুলিশ। চটকল ঘাটের পাশে একটি ঝোপ থেকে ওই দেহাংশ উদ্ধার কর হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার তল্লাশিতে মিলল সাফল্য।
মহিলার কাটা মাথা, পা এবং বুকের অংশ আগেই উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। বাকি ছিল তাঁর হাত, পায়ের আঙুল এবং পেটের অংশ। তদন্তকারীরা মনে করেছিলেন, ওই দেহাংশ সুইং ব্রিজ এবং দইঘাটের মাঝের কোনও জায়গায় ফেলা হয়েছে। কোন পথে দেহাংশ পাচার করা হয়েছে, সেই রুটম্যাপ তৈরি করতে শুক্রবার সকালে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার তদন্তকারীরা প্রথমে ওয়াটগঞ্জের বধূর বাড়িতে যান। যে বাড়িতে তাঁর দেহ কাটা হয়েছিল, সেখানে ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। পুজোর ঘরেও যান। যেখানে দেহাংশ উদ্ধার করা হয়, ওই জায়গাটিও ঘুরে দেখে ফরেন্সিক টিম। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে বাকি দেহাংশও উদ্ধার করলেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেপ্তার বীরভূমের ৫ যুবক]
বধূর দেহ ৯ খণ্ড করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। মোট দুদফায় সাইকেলে সাদা ব্যাগে কালো পলিথিনে মোড়া দেহ ঝুলিয়ে নেয় নীলাঞ্জন। দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হয়। দেহ কাটার ক্ষেত্রে দা বা কাটারি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনা জানতে ওয়াটগঞ্জের বধূর ধৃত ভাসুর নীলাঞ্জনকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি। বার বারই বলছেন, “আমি কিছু জানি না।” এছাড়া বয়ান বদলে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও তিনি করছেন বলেই দাবি পুলিশের। কী কারণে খুন তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। বধূকে খুনের আগে ঠিক কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে তন্ত্রসাধনা ও নরবলির যোগ রয়েছে কি না, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।