সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম মানেই পেটের দফারফা! আর পুজো মানেই বাঙালিদের কাছে দেদার আড্ডা, সাজগোজের সঙ্গে পেটপুজো। যার রেশ চলতে থাকে দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো অবধি। আবার কারও কারও দীপাবলি অবধিও। কারণ এইসময়টা অনেকেই বিজয়া দশমী সারতে ইতি-উতি যান। কিন্তু এই এত জায়গায় ভরপুর উদরপূর্তিতে ‘পেট বাবাজি’ ভোগে!
অনেকেরই পেটের গণ্ডগোল দেখা দেয়। কীভাবে সামলাবেন? রইল টিপস। প্রথমত, বাইরের ভাজাভুজি, ফাস্টফুডের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। রাস্তায় হাঁটতে-চলতে গিয়ে ফুটপাতের স্টলে চোখ গেলেও মন সামলান। মধ্যাহ্নভোজ এবং ডিনার সারুন যতটা সম্ভব হালকা খাবার দিয়ে। বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
[আরও পড়ুন: চকোলেটে লুকিয়ে ‘বিষ’, জখম হতে পারে নার্ভ থেকে কিডনি! চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের]
দুপুরে চিকেনের পাতলা ঝোল খেলে, রাতে একেবারে ডাল-সবজি দিয়ে ভাত বা রুটি খান। আমিষ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল! পনির বা শাক-সবজি খান। মুখে রুচি না থাকলে দুপুরের খাবারটা শুধু তিতো ডাল বা সবজি ডাল মানে সবরকমের সবজি ডালে ফেলে নামানোর আগে ঘি দিন, সেটা দিয়ে ভাত দারুণ লাগে। আরেকটা হল সুক্তো! মুখের রুচি ফেরাতে কিংবা পেটে গণ্ডগোলকে ঠাণ্ডা করতে মা-ঠাকুমাদের চিরাচরিত ভরসার জায়গা ছিল এই পদ। পেঁপের তরকারি খেতে পারেন। পেট ঠান্ডা রাখে।
তবে একান্তই যদি আমিষ খেতে চান তাহলে রসিয়ে কষিয়ে নয়! বরং এইসময়ে পেঁপে দিয়ে হালকা করে পাঁঠার মাংস রাঁধতে পারেন কিংবা পেঁপে, কাঁচকলা দিয়ে মাছের হালকা ঝোল রাঁধুন। আলু-বেগুন দিয়ে পাতলা মাছের ঝোলও পেটকে আরাম দেবে। পেঁপে হজমে সাহায্য করে। আর হ্যাঁ, অবশ্যই বেশি করে জল খান। রাতে ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন।