ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ‘এনকাউন্টার’ মন্তব্যের জের। বীরভূমের বিজেপি (BJP) সভাপতি ধ্রুব সাহাকে শোকজ করল কমিশন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
বাংলায় ভোটযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। বীরভূমে ভোট ২৯ এপ্রিল। নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে সরগরম জেলা। ক’দিন আগে নানুরে প্রচারে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ আলম বলেছিলেন, “আমরা যারা সংখ্যালঘু, তারা ৩০ শতাংশ। বাকিরা ৭০ শতাংশ। এই ৭০ শতাংশ নিয়ে ওরা গদিতে বসবে। আমরা যদি এই ৩০ শতাংশ লোককে নিয়ে একদিকে হয়ে যাই, তাহলে চার-চারটে পাকিস্তান তৈরি হয়ে যাবে।” সেই বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। টুইটে তা শেয়ার করে তীব্র বিরোধিতায় নামে বিজেপি। পরে অবশ্য নিজের ভুল বুঝে শেখ আলম ক্ষমাও চেয়ে নেন। কিন্তু বিতর্ক ধামাচাপা পড়েনি। রবিবার জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা সেই বিতর্ক ফের উসকে দেন।
[আরও পড়ুন: মিনাখাঁয় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, গ্রেপ্তার ৩ আইএসএফ কর্মী]
রবিবার ধ্রুব সাহা বলেছিলেন, “তৃণমূলের শাসন ব্যবস্থায় পাকিস্তান হবে একথা বলা যায়। কিন্তু বিজেপির শাসন ব্যবস্থায় পাকিস্তান তৈরি হবে বললে এনকাউন্টারই হবে। যারা ভারতকে চারখানা পাকিস্তান করবে বলবে, যারা পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকার এডিটরকে ডেকে এনে বলবে, দেখুন আমি কী সুন্দর মিনি পাকিস্তান বানিয়েছি, তাদের এনকাউন্টার করা হবে না তো গলায় মালা পরানো হবে কি? ভারতে থেকে পাকিস্তান জিতলে যারা বোম ফাটাবে, তাদের এনকাউন্টার করা হবে। ২ মে রাজ্যে বিজেপি সরকার হবে। নানুরে ভাই তারক সাহা জিতবে এবং এখানে যারা দেশদ্রোহিতা করবে, যারা পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলবে, তাদের নিশ্চিত এনকাউন্টার হবে।” ইঙ্গিতে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অন্যদিকে এর বিরোধিতায় কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। বিতর্কিত মন্তব্যের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ওই বিজেপি নেতাকে শোকজন করল কমিশন। ভোটের মুখে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে বোলপুরের গেরুয়া শিবিরের নেতারা।