সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২৪ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC leader Mamata Banerjee)। সোমবার সন্ধেয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলনেত্রীর একাধিক মন্তব্যের ফলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করেছে কমিশন। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে সোমবার রাত ৮ টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার করতে পারবেন না তৃণমূলনেত্রী। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। টুইটারে দলীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, “১২ তারিখ গণতন্ত্রের কালো দিন।”
১৭ তারিখ রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। তার আগে ২৪ ঘণ্টার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার নিষিদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু কী কারণে এই নির্দেশ দিল কমিশন?
[আরও পড়ুন: কার দখলে যাবে নিউটাউন? এক দশক পরেও ভোটে বড় ‘ফ্যাক্টর’ জমিহারারা]
কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’টি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। একটি মন্তব্য ছিল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট সংক্রান্ত, অপর মন্তব্যটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও প্রসঙ্গে। তাঁর এই দুই মন্তব্যের জেরে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। এর পরই ৭ এপ্রিল তৃণমূলনেত্রীকে শোকজ করে কমিশন। ৯ তারিখ সেই শোকজের জবাব দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। তাঁদের দাবি, শোকজের বাছাই করা অংশের জবাব দিয়েছিলেন তিনি। কমিশন যা জানতে চেয়েছে, তার সরাসরি জবাব দেননি মমতা। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে বেনজির বলে দাবি করেছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এই সিদ্ধান্তের জেরে তৃণমূলের ক্ষতি হল নাকি লাভই হল, সেই বিতর্ক অবশ্য থেকেই যাচ্ছে।