রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজভবনে বিল আটকে থাকা নিয়ে ফের সরব হলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে বুধবার বিধানসভায় ছিল বিএ কমিটি ও সর্বদল বৈঠক। এরপরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্পিকার বলেন, “রাজ্যপাল কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্যের কাছে ব্যাখ্যা চাইতেই পারেন। কিন্তু বিলটির বর্তমান অবস্থা কী তা বিধানসভাকেই জানাতে হবে। মিডিয়াকে না জানিয়ে রাজ্যপালের উচিত ছিল বিধানসভাকে মর্যাদা দিয়ে সেখানেই সবটা জানানো। বিধানসভাকে মর্যাদা দেওয়া উচিত ছিল। হয়তো ওঁকে (রাজ্যপাল) ভুল বোঝনো হয়েছে। মনে হয় না রাজ্যপাল অত খারাপ মানুষ। রাজ্যপাল চাইলে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।”
স্পিকার আরও বলেন, “আমরা বলেছিলাম ২২টি বিল পেন্ডিং আছে। ওই ২২টি বিল রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে। কিন্তু রাজ্যপাল আমাদের কিছু বলেননি। একটা স্ট্যাটাস রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। কিন্তু কোনও বিলের কী অবস্থা তা জানাননি রাজ্যপাল। কোনও বিলের উনি (রাজ্যপাল) ব্যাখ্যা চেয়েছেন, কোনও বিল ধরে রেখেছেন তা বিধানসভাকে জানানো দরকার। আমাদের রুল বুকে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল সরাসরি বিধানসভাকে জানাবেন। সেটা হচ্ছে না।’’
[আরও পড়ুন: অসাড় শরীরের বাঁ দিক! জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল SSKM]
এই পরিস্থিতিতেই আগামী কাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। আপাতত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অধিবেশন চলবে। বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে এবারও অনুপস্থিত ছিল বিজেপি। ছিলেন না আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। যদিও স্পিকার আগেই বলেছেন, আইএসএফ দলের কোনও অস্তিত্ব বিধানসভায় খাতায়-কলমে নেই। নির্বাচন কমিশন মজলিস পার্টিকে সার্টিফিকেট দিয়েছে তখন তাদের স্বীকৃতি আছে বলেই ধরে নিতে হবে।
এদিকে, বিধানসভার অধিবেশন চলছে অথচ অনেক বিধায়কই উপস্থিত থাকেন না। সেই কারণে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আসন্ন বিধানসভার অধিবেশন থেকেই বিধায়কদের হাজিরার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। আপাতত ঠিক হয়েছে, ২৮ নভেম্বর সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দুঘণ্টার আলোচনা হবে। ২৯ তারিখ বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বিলের আলোচনা হবে। এবং ৩০ তারিখ মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি বিল নিয়ে আলোচনা। সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে সবাই মনে করছে।”
এদিকে, ৩০ নভেম্বরের পর অধিবেশন চলবে কি না তা ২৯ তারিখ বিএ কমিটির বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হবে। এদিকে, যে সব বিধায়কদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী অভিযোগ রয়েছে তারা সকলেই কাগজে কলমে বিজেপি পার্টির সদস্য। সেই হিসেবেই বিধানসভায় তাদের ‘ট্রিট’ করা হয় বলে স্পিকার এদিন জানান।