অর্ণব আইচ: ভবানীপুর (Bhabanipur By-Election) বিজেপির শেষবেলার প্রচারে অশান্তির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা (Suo moto case) দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। মূলত দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়ার ঘটনার জেরেই এই মামলা দায়ের হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) সূত্রে খবর। মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছে জনা কয়েক অপরিচিত ব্যক্তি। উল্লেখ রয়েছে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়ার ঘটনার কথাও। আর এই মামলার পরপরই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।
আগামী ৩০ তারিখ উপনির্বাচনের আগে শেষ প্রচার ছিল সোমবার। ওইদিন ৮টি ওয়ার্ডে ৮০ জন বিজেপি নেতার প্রচার করার কথা ছিল। সেইমতো এদিন সকালে ভোটপ্রচারে যান বারাকপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিং। স্থানীয়দের ‘বহিরাগত, গো ব্যাক’ স্লোগান শুনে এলাকা ছাড়েন তিনি। এরপর পটুয়াপাড়ায় প্রচারে বেরোন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণ পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রচারে যান। তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলেও অভিযোগ। তাতে বাধা দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীর। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা। অভিযোগ, বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দেয় তারা। আরও অভিযোগ, “গলায় পা তুলে দেব” বলে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ নিজে।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: ভবানীপুরে উপনির্বাচন নির্দিষ্ট দিনেই, কমিশনকে জরিমানা করে জানাল হাই কোর্ট]
ভোটপ্রচারের শেষদিনে বিজেপিকে ঘিরে এ ধরনের অশান্তি তৈরি হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। এরপর পুলিশ আর ঝুঁকি নেয়নি। ঘটনায় মঙ্গলবারই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের অভিযোগ, শেষদিন যদুবাবুর বাজার এলাকায় প্রচারে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও বিজেপি নেতারা জোর করে প্রচার করেছেন। সেই কারণে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: টাকা পাঠানো শুরু রাজ্যের, পুজোর আগেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র অর্থ]
অন্যদিকে, বিজেপিও এদিনের ঘটনার জেরে সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার তাঁরা দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সঙ্গে ছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।