স্টাফ রিপোর্টার শিলিগুড়ি ও আসানসোল: একুশের বিধানসভা ভোটে কাছাকাছি এসেছিল বাম-কংগ্রেস। কিন্তু কলকাতা পুরসভার ভোটে চোখে পড়ে অন্য ছবি। এবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটেও (WB Civic Polls 2022) ভেস্তে গেল বাম-কংগ্রেস জোট। এমনকী আসানসোলেও কাস্তে হাতুড়ি ও হাত আলাদা পথ চলার সিদ্ধান্তের পথেই হাঁটছে।
প্রথমে মনে করা হচ্ছিল শিলিগুড়ি পুরভোটে (Siliguri Municipality Election) আবার কাছাকাছি আসছে বাম-কংগ্রেস। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ে দূরত্ব। হাত শিবিরের দাবি, জোটের কথা বলেও পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫ টি আসনে প্রার্থী দিতে চাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাতে নাকি রাজি হয়নি বামেরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, ১২টি আসনের বেশি দেওয়া যাবে না। এরপর মঙ্গলবার শিলিগুড়ির দলীয় দপ্তরে বামেদের বৈঠকের পর ‘একলা চলো রে’ মডেল অনুসরণ করে বামেরা। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শংকর মালাকার বলে দেন, জোটের পথে হাঁটা হচ্ছে না। এরপরই বামেদের উপর চাপ বাড়াতে ১৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেয় কংগ্রেস। যদিও বামেদের আশা অশোক মডেলেই পুরভোটে ভাল ফল আসবে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যে এখনই লকডাউন নয়’, সাগর থেকে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
বাম-কংগ্রেসের মতো প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরেও। শিলিগুড়ি জেলা পদাধিকারী প্রদীপ চৌধুরী ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, এলাকায় প্রচুর কাজ করেছেন। তাই তিনিই টিকিট পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু সেখানে বাণী পালকে প্রার্থী করা হয়। এর পিছনে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন প্রদীপবাবু। পরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত। কিন্তু ভোটের আগে দলের অন্তর্কলহ নিঃসন্দেহে ব্যাকফুটে করে দিল বিজেপিকে। বিরোধীদের এমন ‘দুর্বল’ পোস্টারে আখেরে লাভ হল শাসক দলেরই।
এদিকে, আসানসোল পুরভোটে অসম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বামেরা। ১০৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৮ জন প্রার্থীর নাম সামনে আনল জেলা বাম নেতৃত্ব। যার মধ্যে সিপিআইএম প্রার্থীর সংখ্যা ৬২, ফরওয়ার্ডব্লক ১১ ও সিপিআই ৫। জোট বা আসন সমঝোতা হচ্ছে না, আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাম ও কং নেতারা। আর এদিন বামেদের প্রার্থী ঘোষণার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল আসানসোল বাম-কং জোট হচ্ছে না। তবে বাম নেতৃত্বের দাবি, আঞ্চলিক সমীক্ষা করে যদি দেখা যায় তৃণমূল বা বিজেপিকে পরাস্ত করতে পারবে এমন কোনও স্বচ্ছ বা সম্মানীয় নির্দল প্রার্থী রয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁকে সমর্থন করবেন বামেরা।