১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটপর্ব মিটেছে। আজ ফলপ্রকাশ। আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি ও চন্দননগরের লড়াইয়ে জয়ী শাসকদল তৃণমূলের (TMC)। শিলিগুড়ি ছাড়া বাকি তিন পুরসভা ছিল তৃণমূলেরই দখলে। এবার শিলিগুড়ি পুরনিগমও বামেদের হাত থেকে ঘাসফুল শিবির ছিনিয়ে নিল শাসকদলের। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ৮টা থেকে চলে গণনা। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রের বাইরে মোতায়েন বাড়তি পুলিশ। চার পুরনিগমের ভোটের ফলাফল :
বিকেল ৫.১৫: সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্দল প্রার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। সাফ জানিয়ে দিলেন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য।
বিকেল ৪.৩০: শিলিগুড়ি যেন কলকাতার মতো ঝাঁ-চকচকে হোক। উত্তরবঙ্গে নেমেই ভাবী মেয়র গৌতম দেবকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ”সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। শিলিগুড়ির উন্নয়ন চাই। কলকাতা যেমন সুন্দর হয়েছে, শিলিগুড়িও তেমন হোক।” প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলের পরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন, গৌতম দেব হবেন মেয়র।
দুপুর ২.৪৩: আসানসোলের ৩১ নং ওয়ার্ডে টসে জিতল তৃণমূল। এই ওয়ার্ডে সিপিএম ও তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট এক হওয়ায় টাই হয়। ফলে টসের সিদ্ধান্ত নেন ভোটগণনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। তাতে বাম প্রার্থীকে হারিয়ে জিতে যান শাসকদলের প্রার্থী আশা প্রসাদ।
দুপুর ৩.০৬: ‘এই জয় মানুষকে উৎসর্গ করছি। সঙ্গে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা’। চার পুরনিগমে তৃণমূলের বিশাল জয়ের পর এদিন উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ২.০৫: চার পুরনিগমে হারের পর গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর মতে, বাংলা না জানা ব্যক্তিরা পর্যবেক্ষক হওয়ায় পুরভোটে ভরাডুবি বিজেপির। রাজভবন, হাই কোর্ট দেখিয়ে পার পাবে না বিজেপি।
দুপুর ১.৫৭: আসানসোল পুরনিগমের মোট ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮৯ টি ওয়ার্ডে জয় তৃণমূলের। ১৭, ১৮, ২৭, ২৯, ৬৯, ১০৩ এবং ১০৫ – মোট ৭টি ওয়ার্ড নিজেদের দখলে রেখেছে বিজেপি। ২৫, ২৮, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস। সিপিএম জয়ী ৩৩ ও ৪৩ ওয়ার্ডে। ৬৫, ৬৭, ৬৮ ওয়ার্ডে জয় নির্দল প্রার্থীর।
দুপুর ১: বিধাননগর পুরনিগমে ৩৯টি ওয়ার্ডে জয় তৃণমূলের। ১টি করে ওয়ার্ড কংগ্রেস এবং নির্দল প্রার্থীর দখলে।
বেলা ১২.৫০: বিধাননগর পুরভোটে জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কৃষ্ণা চক্রবর্তী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। বলেন, “মানুষের সেবা করাই মূল লক্ষ্য। দল যা বলবে, তাই করব।”
বেলা ১২.৩০: বিধাননগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী দেবরাজ চক্রবর্তী।
বেলা ১২.১৪: শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১, ২, ৩, ৬, ৭, ১০, ১২, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ২০, ২১, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। বিজেপির দখলে ৪, ৫, ৮, ১১, ৯ নম্বর ওয়ার্ড। ৪৫, ১৯, ২২, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম জয়ী। কংগ্রেসের দখলে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড।
বেলা ১২.০৯: রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “শিলিগুড়িতে আমাদের ফলাফল ভাল নয়। শিলিগুড়ির ফল নিয়ে আত্মসমীক্ষা করব।”
বেলা ১১.৫৮: রাজ্যের চার পুরনিগমে ব্যাপক জয় তৃণমূলের। টুইটে ওই চার পুরএলাকার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলা ১১.৫৩: চার পুরনিগমে তৃণমূলের ব্যাপক জয়ের প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দিদি বলছে মানুষের জয়, আমি বলব দিদির জয়। তৃণমূল কংগ্রেস আরও একবার প্রমাণ করে দিল তারা এভাবেই ক্ষমতায় আসে।”
বেলা ১১.৫০: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেন দু’জনে।
বেলা ১১.৪৫: বিধাননগর পুরভোটে জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সস্ত্রীক সব্যসাচী দত্তের। জয়ী প্রার্থীর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা হয় তাঁদের। সব্যসাচী জানান, “আমি আমার দিদির বাড়িতে এসেছি। মমতাদিকে সামনে রেখেই চলি। যে-ই মেয়রের আসনে বসুন না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হবেন সিইও।”
বেলা ১১.৩৭: চন্দননগরের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টিতে ভোট হয়। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে ভোট স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। ৩২টির মধ্যে ৩১টি ওয়ার্ডে জয় তৃণমূলের। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডটি সিপিএমের দখলে।
বেলা ১১.৩১: শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শংকর ঘোষ পরাজিত।
বেলা ১১.১৯: প্রথম পর্যায়ের গণনা শেষে আসানসোলের ৫৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বিজেপি চারটে ওয়ার্ডে জয়ী। ১৭, ১৮, ২৭, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস। ২৫, ২৮, ৩৩, ৪৩, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। ৩১ নম্বর ওয়ার্ড টাই। সমান ভোট পেয়েছেন তৃণমূল ও বাম প্রার্থী। এই ওয়ার্ডে টসের পরই জয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে কমিশন।
বেলা ১১.১৭: শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল তৃণমূলের।
সকাল ১০.৫৬: শিলিগুড়ি পুরনিগমের পরবর্তী মেয়র হবেন গৌতম দেব, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধাননগরের মেয়র কে হবেন, আলোচনার পরই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
সকাল ১০.৫২: শিলিগুড়ি পুরনিগমের পাঁচটি ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি। ৪, ৫, ৮, ৯ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড পদ্মশিবিরের দখলে। ১, ২, ৩, ৬, ৭, ১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৭, ১৮, ২০, ২১, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৭, ৩৮, ৪০, ৪৩, ৪৪, ৪৬, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। ৪৫, ১৯, ২২, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস।
সকাল ১০.৪৯: বিধাননগর পুরভোটে জয়ী সব্যসাচী দত্ত ও কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
সকাল ১০.৩৭: চার পুরনিগমের ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি।
সকাল ১০.৩৪: চার পুরনিগমের ভোটে তৃণমূলের রমরমা। সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদজ্ঞাপন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “আমরা উন্নয়নও করে যাব। আবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটও করব।” দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আরও বেশি মানবিক হতে হবে।” উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে তোপ। ভোগী বলে কটাক্ষও করেন তাঁকে।
সকাল ১০.৩৩: বিধাননগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আরাত্রিকা ভট্টাচার্য।
সকাল ১০.৩০: শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৫ নম্বর এবং আসানসোলের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম।
সকাল ১০.২১: শিলিগুড়ির ৩৪, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। ৫ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড দখল বিজেপির।
সকাল ১০.১৭: আসানসোলের ৪টি ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি। ৪৬, ৪৮, ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল।
সকাল ১০.০৬: আসানসোল পুরনিগমের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম প্রার্থী। ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয় তৃণমূলের।
সকাল ১০.০৫: শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটে পরাজিত অশোক ভট্টাচার্য। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ৫১০ ভোটে হার বাম নেতার। ভোটযুদ্ধে হারলেন নান্টু পালও। ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। এই ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল।
সকাল ১০.০১: শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১, ২, ৩, ১৭, ১৮, ২০, ২৩, ২৫, ৩১, ৩৩, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম।
সকাল ১০: চন্দননগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী সিপিএম। ১২, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয় তৃণমূলের।
সকাল ৯.৫১: শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী গৌতম দেব। ৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী তিনি। জয় শিলিগুড়িবাসীকে উৎসর্গ করেন তিনি।
সকাল ৯.৪৭: আসানসোল পুরনিগমের ২টি ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি। ৩৩০০ ভোটে জয়ী তিনি।
সকাল ৯.৪৫: আসানসোলের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রূপেশকুমার যাদব।
সকাল ৯.৪১: অশোক ভট্টাচার্যের দম্ভ এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভরাডুবি বামেদের, বিস্ফোরক শংকর মালাকার।
সকালে ৯.৩৪: সন্ত্রাস করে ভোটে জয়, আসানসোল পুরনিগমে তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের পর কটাক্ষ জিতেন্দ্র তিওয়ারির। ফলপ্রকাশের পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার আশঙ্কাপ্রকাশও করেন তিনি।
সকাল ৯.৩৩: ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। ১৫০০টি ভোটে জিতলেন তিনি।
সকাল ৯.২৯: বিধাননগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী।
সকাল ৯.২৮: আসানসোলের ৫০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল।
সকাল ৯.১৬: আসানসোল পলিটেকনিক কলেজের সামনে উচ্ছ্বাস তৃণমূল কর্মীদের।
সকাল ৯.১৪: শিলিগুড়ির ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড বামেদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী।
সকাল ৯.১৩: বিধাননগরের ৪০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল।
সকাল ৯.০৯: শিলিগুড়ির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় ঘটক।
সকাল ৯.০৬: শিলিগুড়ির ২০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল।
সকাল ৮.৪৪: শিলিগুড়িতে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব।
সকাল ৮.৪৩: আসানসোলের ১৩, ২৪ থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি।
সকাল ৮.৪২: চন্দননগরের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল।
সকাল ৮.৪১: বিধাননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে কংগ্রেস।
সকাল ৮.৩৬: বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল।
সকাল ৮.৩৩: শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে অশোক ভট্টাচার্য।
সকাল ৮.৩২: চন্দননগরের ১২, ১৪, ১৮ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল।
সকাল ৮.০১:বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দনগর পুরনিগমে শুরু ভোটগণনা।
রাত ১টা: আসানসোলের ধাদকা পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রংরুমে ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল সিসিটিভি। প্রতিবাদে স্ট্রংরুমের বাইরে বিক্ষোভ বিরোধীদের।