গৌতম ব্রহ্ম: পুজোর বাকি আর ৯০ দিন। প্রস্তুতি অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছে। শহর থেকে জেলা, সাবেকী থেকে থিম পুজো, সর্বত্রই ব্যস্ততা। এই পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোকর্তাদের মনে প্রশ্ন, এবারও কী নতুন কোনও চমক থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়?
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম বছর ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল ক্লাবগুলিকে। তার পর করোনার পরে এক ধাক্কায় অনুদানের অঙ্ক দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। ২০২২ ও ২০২৩ সালে ১০ হাজার টাকা করে বাড়ে অনুদান। গত বছর ক্লাবগুলি ৭০ হাজার টাকা করে অনুদান পায়। সেই সঙ্গে মেলে বিদ্যুৎ বিলে ৬৬.৬৬ শতাংশ ছাড়। এবার মুখ্যমন্ত্রী নতুন কিছু ঘোষণা করেন কী না, তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সংগঠন ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ ইতিমধ্যেই এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর মন্তব্য খারিজ সুকান্তর, ড্যামেজ কন্ট্রোলে শমীক]
ফোরামের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানালেন, ‘‘আমন্ত্রণপত্র পেয়েছি। আয়োজনে কলকাতা পুলিশ। পুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী নির্দেশ দেন তা শুনতে যাব।’’ ফোরাম কী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও দাবি পেশ করবে? শাশ্বত জানালেন, ‘‘না চাইতেই দিদি সব দিয়ে দেন। তাই দাবি জানানোর প্রয়োজন পড়ে না।’’
আসলে দুর্গাপুজো এখন আর শুধু ধর্মীয় আচারে সীমাবদ্ধ নেই। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়ে আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপান্তরিত। ফি বছর ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয় দুর্গাপুজোয়। বহু মানুষ পুজোর এই কটা দিনের দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন। এই বাস্তবটা জানেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ক্লাবগুলির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সব রকমভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করেন। আসলে দুর্গাপুজো এখন বহু মানুষের জীবন-জীবিকা হয়ে উঠেছে। তাই সরকারের জুড়ে থাকাটা জরুরি হয়ে গিয়েছে।