ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ। কলকাতার সুপারস্পেশ্যালিটি সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর। দু’জন জুনিয়র চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত থেকে থমথমে হাসপাতাল চত্বর। চিকিৎসকদের হেনস্তা নিয়ে দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি তাঁর।
নিহত মহম্মদ ইরফান নামে ওই যুবক হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। শেষমেশ মৃত্যু হয় যুবকের। চিকিৎসকরা বলেন, যুবকের ময়নাতদন্ত করতে হবে। তবে তাতে নারাজ মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন। তা নিয়ে হাসপাতালে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যুবকের পরিবারের বচসা শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকায় নাম! চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ‘আত্মঘাতী’ নন্দীগ্রামের শিক্ষিকা]
মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতাল চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। দুই জুনিয়র চিকিৎসককে মারধরও করা হয়। এক্স রে মেশিনও ভাঙচুর করে রোগীর পরিবারের লোকজন। খবর পাওয়ামাত্রই ভবানীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বেশ কিছুক্ষণ অশান্তির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “অল্প বয়সি যুবকের মৃত্যু হলে সকলের খারাপ লাগে। তবে এসএসকেএম ট্রমা সেন্টারে নাইট ডিউটিতে থাকা দু’জন জুনিয়ার চিকিৎসকদের মারধর করা দুর্ভাগ্যজনক। রাতে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। রাতে সিনিয়র ডাক্তারদের থাকা উচিত। জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তা দেয় রাজ্য। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।” উল্লেখ্য, এই প্রথমবার নয়। এর আগেও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে।
দেখুন ভিডিও: