shono
Advertisement

Breaking News

করোনার টিকাপিছু মাত্র ১ টাকা সাম্মানিক মূল্য! ক্ষুব্ধ ভ্যাকসিনদাতারা

কেন এত সামান্য টাকা বরাদ্দ? উঠছে প্রশ্ন।
Posted: 09:01 AM Jan 19, 2021Updated: 09:01 AM Jan 19, 2021

অভিরূপ দাস: সাম্মানিক দিচ্ছে রাজ্য। ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) পিছু এক টাকা। যা দেখে ক্ষুব্ধ রাজ্যের কয়েকশো টিকাদাতা। বলছেন, এর অর্থ কী? এর চেয়ে কিছু না দিলেই ভাল হত।
শনিবার ১৬ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি সেন্টারে ১০০ জন করে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। টিকাকেন্দ্রে চারজন করে ভ্যাকসিনেটর বা টিকাদাতা (Vaccinator) থাকেন। যিনি ভ্যাকসিনের ইঞ্জেকশন দেন। প্রতি সেশন অনুযায়ী একজন ভ্যাকসিনেটরের জন্য ১০০ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্মী জানিয়েছেন, সেশন মানে ১০০ জন। অর্থাৎ ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দিলে ১০০ টাকা মিলবে!
ভ্যাকসিন দেওয়া মামুলি কথা নয়। ইন্ট্রামাসকুলার রুটে সঠিক জায়গায় ভ্যাকসিন দিতে গেলে ন্যূনতম চিকিৎসা জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সম্পাদক চিকিৎসক মানস গুমটার প্রশ্ন, “সেই জ্ঞানের মূল্য এক টাকা?” ডা. গুমটার কথায়, “ভিখারিও আজকাল এক টাকা নেয় না। এই টাকা দিয়ে ভ্যাকসিনেটরদের অপমান করা হচ্ছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে টিকাকরণ শুরু করে এই অবস্থা!”
প্রতি টিকাদাতা পিছু ফেসশিল্ড, মাস্ক, স্যানিটাইজার বাবদ বরাদ্দ হয়েছে ২৫ টাকা। সে অর্থ নিয়েও চোখ কপালে টিকাদাতাদের। রাজ্যের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানেও ওই টাকায় গ্লাভস মেলে না! ডা. মানস গুমটার কথায়, “স্যানিটাইজারের প্রস্তুতকারক আইসোপ্রোফাইল অ্যালকোহলের দামই তো উঠবে না ওতে। স্বাস্থ্য দপ্তর বোধহয় স্যানিটাইজারের বোতলে জল ভরে ব্যবহার করতে বলছে।”
সূত্রের খবর, করোনা ভ্যাকসিন দিতে টিকাদাতাদের জন্য প্রতি ১০০ জন পিছু প্রথমে ৪০০ টাকা করে বরাদ্দ হয়েছিল। কমতে কমতে তা এখন ১০০ টাকায়। করোনা (Corona Virus) মোকাবিলায় রাজ্যগুলির জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন করোনা (COVID-19) মোকাবিলায়। তবু কেন এত সামান্য টাকা বরাদ্দ?

Advertisement

[আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৭ ঘণ্টা আগেই যান চলাচল শুরু শিয়ালদহ ফ্লাইওভারে, স্বস্তিতে যাত্রীরা ]

সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক ডা. সজল বিশ্বাসের কথায়, “টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। তাই ভ্যাকসিন পিছু এক টাকা করে দিতে হচ্ছে টিকাদাতাদের।” টিকাকরণ শুরু হয়েছে সবে। এখনও বহু পথ চলা বাকি। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতালের সাফাইকর্মীর মতো প্রথম সারির কর্মীরা টিকা পাবেন। তার পরের ধাপে পুলিশ। তৃতীয় ধাপে পঞ্চাশোর্ধ্ব কোমর্বিডিটি সম্পন্ন ব্যক্তিরা, চতুর্থ ধাপে সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন উঠছে, সামান্য এই পারিশ্রমিকে এতদিন কর্মোদ্যোগ টিকিয়ে রাখতে পারবেন টিকাদাতারা? কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বহু টিকাদাতা জানিয়েছেন, করোনা আবহে আমরা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছি। ডাক্তারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। কিন্তু তার পারিশ্রমিকটা এত সামান্য? ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. কৌশিক লাহিড়ী জানিয়েছেন, “করোনাকে ঠেকাতে টিকাকরণ জরুরি এবং আবশ্যিক। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে। সাম্মানিক না বাড়ালে টিকাদাতাতের মনোসংযোগে চিড় ধরবে।”

[আরও পড়ুন:দূর থেকে তাড়া করে বাইপাসের ধারে খুন? যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement