রাজা দাস, বালুরঘাট: ভোট চলছে, জারি রয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি (MCC)। তাই এখন কাউকে সাহায্য করতে গেলে নিয়মের ফাঁসে ফেঁসে যাবেন জন প্রতিনিধিরা। আর ভোটের (West Bengal Assembly Election 2021) কাজে ব্যস্ত সরকারি আধিকারিকদেরও দেখা মিলছে না। ফলে বিধ্বংসী ঝড়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বিস্তীর্ণ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কার্যত কোনও সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন না। উড়ে যাওয়া টিন কুড়িয়ে এনে কোনও রকমে পরিবার নিয়ে মাথা গুঁজে রাত কাটাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আধঘণ্টার বিধ্বংসী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, তপন, হিলি-সহ বেশ কয়েকটি ব্লক। উপড়ে পরে বিদ্যুতের খুঁটি, ট্রান্সফার্মার, বড় বড় গাছ। সেই সঙ্গে উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল। ভেঙে পড়ে ইট ও মাটির দেওয়ালও। ইটের দেওয়াল ভেঙে ভোওর গ্রামপঞ্চায়েতে মারা গিয়েছেন বছর ষাটের মেলচো সোরেন নামের এক ব্যক্তি। আহত হয় তার পরিবারের অন্য ৪ সদস্যও। বিস্তীর্ণ জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘৪ দফাতেই বিজেপির সেঞ্চুরি, বুঝেই রেগে যাচ্ছেন দিদি’, বর্ধমানের সভায় আত্মবিশ্বাসী মোদি]
রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং নেতারা এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিলেও সরাসরি সাহায্য করতে পারছেন না। কারণ তাঁরা নির্বাচনী বিধির আওতায় রয়েছেন। এই অবস্থায় অধিকাংশ এলাকায় ত্রাণ পোঁছায়নি বলে অভিযোগ। বালুরঘাটে মারগ্রামের বাসিন্দা পিন্টু মণ্ডল, মাধবী বর্মন বলেন, “বিধ্বংসী ঝড়ে আমাদের পুরো এলাকা লণ্ডভণ্ড। অধিকাংশ বাড়ির চাল উড়ে গিয়ে টিন ও মাটির ঘরবাড়ি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। রাতে কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছি আমরা। কিন্ত ঘটনার পর থেকে এখনও আমাদের এলাকায় দেখা নেই সরকারি কোনও আধিকারিকের, মেলেনি কোনও ত্রাণ। টিনের টুকরো জোড়া দিয়ে অস্থায়ী চালা বানিয়ে মাথা গুঁজে রয়েছি। ভাগ্যিস পরে আর ঝড় বৃষ্টি হয়নি। না হলে পরিস্থিতি কী ভয়ানক হতে পারত আমরাই জানি।”
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ আধিকারিক ভোটের কাজে ব্যস্ত। তাই কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে কুমারগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ গিয়েছে। অন্য এলাকার তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে। সেখানে ত্রাণ এবং প্রয়োজনীয় অন্য সাহায্য পৌঁছে যাবে।