সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোচবিহারের (Coochbihar)) সিতাইয়ে (Sitai) দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisek Banerjee)। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিল বিজেপি (BJP)। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতি আর তা বাস্তবায়নের ফারাক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনের প্রসঙ্গ টেনে প্রতিপক্ষকে তুলোধোনা করেন অভিষেক।
অভিষেক তাঁর বক্তব্যে আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর তুল্যমূল্য বিচার করেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্র মাত্র ১০ শতাংশ মানুষকে এর আওতায় আনতে চেয়েছিল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার ১০ কোটি মানুষ, তিনি গরীব, বড়লোক, ছোট, বড় যেই হোন না কেন, সবার জন্য চালু করেছেন স্বাস্থ্যসাথী। আর নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্প বাড়ির মহিলাদের নামে করা হয়েছে। এই কার্ড নিয়ে দেশের সব জায়গায় পরিষেবা পাওয়া যাবে বলেও দাবি করেন অভিষেক।
শুধু নতুন প্রকল্পই নয়, পুরনো প্রতিশ্রুতির কথাও টেনে আনেন অভিষেক। তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি দাবি করত, ক্ষমতায় এলে বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করা হবে, ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসবে। সে কথা উল্লেখ করে অভিষেক দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন তা করেন। যেটা পরবেন না সেটা সরাসরি বলে দেন। কিন্তু কেন্দ্র গত ৭ বছরে রাজ্য থেকে বার্ষিক ৭৫ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমফানে কেন্দ্র যে টাকা পাঠিয়েছে, তা নিয়ে প্রচার করতে নেমে পড়েছেন আরএসএস কর্মীরা। অথচ সেই টাকা বাংলা থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের টাকা। এমনটাই দাবি করেছেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ আসলে বিজেপি বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চায়, পাতে মারতে চায়। বাংলায় অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে বিএসএফ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: ‘চাকরি দেব, বলুন বিজেপিকে ভোট দেবেন না’, গোঘাটে বললেন মমতা]
সিতাইয়ের মানুষের কাছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষকদের আর্থিক সাহায্য, রাজ্যের পরিবারগুলিকে ন্যূনতম মাসিক আয়ের আওতায় আনা, দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন অভিষেক। আর এই জনমুখী নীতি কতটা প্রভাব ফেলছে, তা ভিড়ে ঠাসা সিতাইয়ের জনসভার বারবার হাততালি বুঝিয়ে দিয়েছে।
বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তবে তিনি পরামর্শও দেন, কেউ টাকা দিতে এলে তা নিয়ে নিতে। কারণ ওই টাকা বাংলার মানুষের করের টাকা বলেও দাবি করেন অভিষেক বলেন, টাকা নিয়ে তৃণমূলকেই ভোট দিন। ২ তারিখ ভোটবাক্স খুললে যেন পদ্মফুল চোখে সর্ষে ফুল দেখে। আলিপুরদুয়ারের ৯টি আসনেই বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত করা ডাক দেন অভিষেক।