সুব্রত বিশ্বাস: সব আশা শেষ! মঙ্গলবার রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে রেল। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্য রেলের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। ফলে পুজোর আগে লোকাল ট্রেন চলাচল এখন কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন রেলের কর্তারা।
এ প্রসঙ্গে শিয়ালদের ডিআরএম এসপি সিং জানিয়েছেন, রাজ্য এখনও কোনও পদক্ষেপ না করায় বৈঠক হল না। পুজো দোরগোড়ায়। বৈঠকের পর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দিন দশেক সময় তো লাগবেই। ফলে পুজোর আগে লোকাল ট্রেন চলা অনিশ্চিত বলে তিনি মনে করেছেন। পাশাপাশি, পুজোয় ট্রেন চললে সংক্রমণ বাড়বে এই আশঙ্কা করছেন তিনি। রাজ্য একই আশঙ্কা করায় ট্রেনের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে তাঁর ধারণা।
[আরও পড়ুন : রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিলে কেমন হয়? মুকুলপুত্র শুভ্রাংশুর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা]
প্রসঙ্গত, পুজো যত এগিয়ে আসছে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি তত জোরালো হচ্ছে। রুষ্ট যাত্রীদের বশে আনতে পারছে না রেল। এই প্রেক্ষিতে ফের রাজ্যকে চিঠি দেয় রেল। মঙ্গলবার পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার রাজ্যের ডেপুটি চিফ সেক্রেটারিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেনের দাবি দিনদিন জোরালো হচ্ছে। রেল সম্পত্তি নষ্ট করছেন ক্ষিপ্ত জনতা। এই পরিস্থিতিতে রেলের সঙ্গে রাজ্য বসে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিষ্পত্তি করুক। কীভাবে, কত ট্রেন, কবে চালানো শুরু করা যাবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। উল্লেখ্য, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত। চিঠিতে লিখেছেন, বাংলায় যত দ্রুত সম্ভব লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক মন্ত্রক।
[আরও পড়ুন : ‘ভাল আছি’, মৃত্যুর গুজবে বিরক্ত রাজ্যের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা]
এদিকে রেল যাত্রায় সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে আরপিএফ কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। ট্রেন যাত্রা কালে মাস্ক ঠিকমতো না পড়লে, সামাজিক দূরত্ব না মানলে, থুথু ফেললে মোটা অংকের জরিমানা ও জেলে যেতে হবে অভিযুক্ত যাত্রীকে। এদিকে রেল বেসরকারি করণের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে শুক্রবার হাওড়া, শিয়ালদহ থেকে মোটররেলি করে সদর দফতরে এসে বিক্ষোভ দেখাবে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সদস্যরা।