সুদীপ রায়চৌধুরী: সন্দেশখালি ইস্যুতে শনিবার বিজেপি (BJP) প্রতিনিধি দল রাজভবনে যাওয়ার পরই বাড়ল তৎপরতা। পরিস্থিতি নিয়ে ফের রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। তিনি এই মুহূর্তে কেরলে রয়েছেন। সচিবের মাধ্যমে শুভেন্দুদের আবেদনের কথা জানতে পেরে তিনি সেখান থেকেই ইমেল করে নবান্নে (Nabanna) রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এর আগেও সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ্যসচিবের তরফে সেই রিপোর্ট মেলেনি বলে খবর। তাই ফের এনিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলেন রাজ্যপাল।
গত চারদিন ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। সেখানকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে কেন এখনও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলে মহিলারা বিক্ষোভে নেমেছেন। তাঁদের হাতে প্রহৃত হয়েছেন শাহজাহানের দুই অনুগামী শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শনিবার উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। যদিও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের আশ্বাস, সন্দেশখালির পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। সেখানে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন এডিজি, আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা।
[আরও পড়ুন: চাকুরিজীবীদের জন্য বড় ঘোষণা, ইপিএফে বাড়ল সুদের হার]
এদিকে, সন্দেশখালি কার্যত পুলিশের চক্রব্যুহে। অশান্তি রুখতে চারপাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাত থেকে ইন্টারনেট (Internet) বন্ধ এলাকায়। শনিবার বিজেপি প্রতিনিধি দল সেখানে ঢুকতে গিয়ে বাধা পায়। এদিকে, শনিবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)নেতৃত্বে রাজভবনে যায় বিজেপি পরিষদীয় দল। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন দিয়েছেন শুভেন্দু। রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ রাজপুত, উপদেষ্টা এস কে পট্টনায়কের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এর পরই নড়েচড়ে বসে রাজভবন। ওএসডির মাধ্যমে এই খবর পেয়ে ইমেল পাঠিয়ে নবান্নে সন্দেশখালি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস।