সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দুর্নীতি নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) নজরে রাজ্যের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজভবনের অ্যান্টি কোরাপশন সেলে একাধিক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের তদন্ত প্রয়োজন।
কিছুদিন আগে নির্বাচনী হিংসার আবহে রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলেছিলেন রাজ্যপাল। ভোটের পর সেই পিস রুমের আদলেই তিনি খুলেছেন অ্যান্টি কোরাপশন সেল (Anti Corruption Cell)। রাজভবনের সেই অ্যান্টি কোরাপশন সেলে একের পর এক বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলছেন, সেই সমস্ত অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত তদন্ত শেষ না হচ্ছে, তিনি এই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অনুমোদন তিনি নবীকরণ করবেন না।
[আরও পড়ুন: ভয়ংকর গোষ্ঠী সংঘর্ষের দিন ছুটি নিয়েছিলেন! সেই পুলিশকর্তাকে সরাল হরিয়ানা সরকার]
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছে। বিশেষ করে একাধিক বিএড কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। টাকার বিনিময়ে সেখানে বেআইনি কাজ হচ্ছে। এ নিয়ে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত অনুমোদন পুনর্নবীকরণ হবে না। তদন্ত শেষ হলে তবেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চেয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘শান্ত হোন, নাহলে বাড়িতে ইডি চলে যাবে’, সংসদে দাঁড়িয়েই ‘হুমকি’ মন্ত্রীর]
শিক্ষাক্ষেত্র নিয়ে রাজ্য ও এবং রাজ্যপালের সংঘাত দীর্ঘদিনের। এর আগে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। এবার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়ে কড়া অবস্থান নিলেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের অবস্থানে রাজ্যের শাসকদল ক্ষুব্ধ। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলছেন, “রাজ্যপাল বিজেপির (BJP) পরিকল্পনা মতো সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়ে থাকলে তিনি নিজে তো আর তদন্ত করতে যাবেন না। সেটা করতে হবে পুলিশকেই। তাই সরাসরি সরকারকে জানালেই পারতেন। ঘুরিয়ে নাক দেখানোর কী দরকার?”