নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা যে রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে তা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত তাঁর নির্দেশকেই অগ্রাধিকার দিল স্বরাষ্ট্রদপ্তর। রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে মাথায় রেখে ৭ সদস্যের বিশেষ সিকিওরিটি অডিট কমিটি গঠন করা হল। কী কাজ করবে এই কমিটি?
প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ফের একদফা খতিয়ে দেখা হবে। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলি যে সমস্ত এলাকাকে 'মারাত্মক' বলে বলে করা হবে সেগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী সেসব জায়গায় মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি ঘটনার মূল্যায়ণ করা হবে। এবং হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে নিরাপত্তা, সেলফ সিকিওরিটি বাড়ানোর ব্যবস্থা করবে এই কমিটি।
কলকাতা পুলিশ আওতায় আসছে ৫টি মেডিক্যাল কলেজ। বাকি ২৩টি মেডিক্যাল কলেজই জেলায়। এগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য জেলাশাসকের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সুপার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলির প্রিন্সিপাল ও উপাধ্যক্ষদের যুক্ত করা হবে। সরকারি আদেশনামায় বলা হয়েছে, নতুন কমিটিতে যারা থাকবে তাঁরা হলেন যুগ্ম কমিশনার কর্নেল নভেন্দর পাল সিং, ডিআইজি জয় বিশ্বাস, ডেপুটি কমিশনার পুষ্পা-সহ আরও তিনজন।
সোমবার সুপ্রিম শুনানির পর ফের জিবি বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আট ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের কথায়, রাজ্যের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস মিলেছে ঠিকই। কিন্তু নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেনি সরকার। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনাকে তুলে ধরে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিলেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য অডিট কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার।