মলয় কুণ্ডু: ১ মে থেকে দেশজুড়ে আঠারোর্ধ্বদের টিকাকরণ (COVID-19 Vaccine) শুরুর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু এত সংখ্যক ভ্যাকসিন কোথায়? করোনা টিকার অর্যাপ্ততা মেটাতে মোদি সরকারকে চিঠি দিল নবান্ন। পয়লা মে’র আগে ৩ কোটি টিকা পাঠানোর আরজি জানাল রাজ্য। অর্থের বিনিময়ে সেই ভ্যাকসিন কেনা হবে। পাশাপাশি, রাজ্যের বরাদ্দ বিনামূল্যের ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে থাকা ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য ২ কোটি ভ্যাকসিন চাওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে বেসরকারি ক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সেই উদ্দেশে আরও এক কোটি টিকা চাওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মোট দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : করোনার দাপটের জের, কলকাতায় ৪ দিন বন্ধ অনাবশ্যক পণ্যসামগ্রীর বাজার]
রাজ্যের তরফে জানানো হয়ে, পয়লা মে’র আগেই তিন কোটি টিকার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। রাজ্যে টিকা কিনতে তৈরি। পাশাপাশি, ৪৫ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন পাঠানোর আরজিও জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, চাহিদা অনুযায়ী টিকা না থাকায় মুম্বই, দিল্লিতে ১ মে থেকে সার্বজনীন টিকাদান শুরু করা যাবে না। বাংলায়ও চাহিদা অনুযায়ী টিকার সরবারহ নেই বলে অভিযোগ।
চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না করোনার টিকা। যার জেরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন টিকা নিতে আসা অনেকেই। বেশকিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। সেই জমায়েত থেকে করোনা সংক্রমণ আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণে এবার রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হল স্বাস্থ্যদপ্তর। চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিড় নিয়ন্ত্রণের আবেদন জানিয়েছে তারা।