ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ভ্যাকসিনের নাম "উভিকোল প্লাস।" কলেরা নিয়ন্ত্রণে এই ভ্যাকসিন পশ্চিমবঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পাইলট প্রজেক্টে ইমপ্লিমেন্টশন স্টাডি শুরু হল। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা নাইসেড (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা এন্ড এন্টেরিক ডিজিজ) এর অধিকর্তা ডা. শান্তা দত্ত।
নাইসেড অধিকর্তা জানিয়েছেন, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কলেরার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রথম দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ব্লক ২ এর প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দাকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিনের কলেরা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা গড়ে ৬০ শতাংশ। প্রকল্প শুরু করতে ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা মূখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট ভিডিও কে লিখিত বার্তা দেওয়া হয়েছে। নাইসেড অধিকর্তার কথায়,"এটা কোনও ট্রায়াল নয়। ইতিমধ্যে ট্রায়াল হয়ে গেছে। এখন ইমপ্লিমেন্ট স্টাডি মানুষের মধ্যে দিয়ে দেখা হবে কার্যকরী ক্ষমতা কতটা বেশি। কোরিয়ান ওষুধ উৎপাদক সংস্থার কলেরার এই ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দুবার দেওয়া হবে। ঠিক যেমনভাবে পোলিওর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
'উভিকোল প্লাস' ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ওষুধ উৎপাদক সংস্থা ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদন পেয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এবং নাইসেড সমীক্ষা বলছে পশ্চিমবঙ্গের কলেরা অধ্যুষিত এলাকার মধ্যে শীর্ষে বিষ্ণুপুর ব্লক ১ এর তিনটি গ্রাম। এগুলো হলো নাজাহারি, খগড়ামুড়ি এবং বাখরাহাট গ্রাম পঞ্চাযেত এলাকা। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কলেরা নির্মূল করতে হবে। মূলত সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কলেরা ওরাল ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হল। ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় সূচ ফোঁটানর ব্যাথা নেই। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ ভ্যাকসিন নিতে পারবে। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে।