নব্যেন্দু হাজরা: মাস তিনেকের মধ্যেই পৌনে ৩০০ নতুন বাস রাস্তায় নামতে চলেছে। কলকাতা-শিলিগুড়ি বাস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসে একথা জানান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন,”শীঘ্রই তিনটি নিগমের জন্য প্রায় পৌনে তিনশো বাস নামানো হবে। সেগুলোর বেশিরভাগই সিএনজি চালিত হবে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার করা হয়ে গিয়েছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি চালিত বাস নামানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যে সমস্ত বাসগুলো সামান্য মেরামত করলে রাস্তায় নামানো যায়, সেগুলোকেও নামানোর প্রক্রিয়া চলছে।’’
কসবা থেকে ধর্মতলা-শিলিগুড়ি বাস পরিষেবার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার উত্তরবঙ্গগামী এই বাস ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ ছিল। মন্ত্রী জানান, এসি ডিলাক্স এই বাস পরিষেবা ১ ডিসেম্বর থেকে পাওয়া যাবে। ভাড়াও দ্রুত নির্ধারিত হয়ে যাবে। গোটা বছরই পর্যটকদের চাপে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া দায় হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে এই বাস চালু করলে তা জনপ্রিয় হবে। সাধারণ মানুষেরও সুবিধা হবে। এরপর আসানসোল থেকেও শিলিগুড়িগামী বাস চালু হবে।
[আরও পড়ুন: শেষ পর্যায়ে হঠাৎ বিপত্তি! উত্তরকাশীতে ফের থমকে গেল উদ্ধারকাজ, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী]
এদিকে পরিবহণ দপ্তরসূত্রে খবর, এই পৌনে তিনশো বাসের মধ্যে কেন্দ্রের ন্যাশানাল গ্রিন এয়ার প্রোগ্রামের টাকায় ১৭০-১৮০টি সিএনজি বাস কেনা হচ্ছে। আর রাজ্য সরকারের টাকায় কেনা হচ্ছে আরও ৯০টি বাস। তবে সেগুলো ডিজেল চালিত। এই বাসগুলো পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম, এসবিএসটিসি এবং এনবিএসটিসি এই তিন নিগমের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এদিন মন্ত্রী ফের জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার কোনওভাবেই বাসের ভাড়া বাড়াচ্ছে না। সরকারি এবং বেসরকারি বাসের ভাড়া একই রয়েছে। কেউ বাড়তি ভাড়া চাইলে যাত্রীরা পরিবহণ দপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাসভাড়াকে একই রেখেছেন।
একইসঙ্গে মন্ত্রী রাস্তায় বৈদ্যুতিক গাড়ি নামানোর উপর বাড়তি জোর দেন। জানান, “অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে অনেকটাই এগিয়ে। আমাদের সেই ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল, এমডি ময়ূরী বাসু, পিভিডি-র ডিরেক্টর দিব্যেন্দু দাস- অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি।