দীপালি সেন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। অথচ তাঁকে পদেই বহাল রাখে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর। সেই নির্দেশ মেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। আর তা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এবার উপাচার্যের ঘর সিল করে দেওয়ার নির্দেশ রাজ্যপালের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই নির্দেশ দিয়েছেন। রাজভবনের তরফে দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনওভাবেই যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারেন তাই অন্তর্বর্তী উপাচার্য রজত কিশোর দে-র ঘর সিল করে দেওয়া হয়েছে। যদি নির্দেশিকা অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। নিয়ম অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রচারে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, দলীয় কর্মীদেরই বিক্ষোভে মেজাজ হারালেন মহুয়া!]
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার ছিল। সন্ধ্যার পর চিঠি পেয়েছি। তখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। আমার অথরিটি উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এই চিঠি পেয়ে নিয়ম অনুযায়ী আমি উপাচার্য রজত কিশোর দে-র সঙ্গে এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কাউকে পাইনি। শনি ও রবিবার ছুটি। সোমবার যা নির্দেশ পাওয়া যাবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।" এদিন অবশ্য উপাচার্য রজত কিশোর দে ফোন ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “রাজ্যপাল উপাচার্যকে অপসারণ করেছিলেন। রাজ্য সরকার উপাচার্যকে পদে বহাল রেখেছে। তাই তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।” ওয়েবকুপার রাজ্যের সহ সভাপতি মণিশংকর মণ্ডল বলেন, “রাজ্যপাল হিটলারি শাসন চালাচ্ছেন। আগামীতে তাঁর চেয়ার থাকে কিনা, তা নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।”