shono
Advertisement

কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আরজি ধনকড়ের, বাধা বয়স ও কো-মরবিডিটি

কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের আগে নাইসেডে গিয়ে রাজ্যের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল।
Posted: 12:25 PM Dec 02, 2020Updated: 04:49 PM Dec 02, 2020

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: এক হাজার জনের উপর বাংলায় ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। তার আগে বুধবার সকালে বেলেঘাটার নাইসেডে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আরজি জানান তিনি। তবে তাঁর বয়স বেশি। এছাড়া রয়েছে কো-মরবিডিটি। তাই এ বিষয়ে তাঁর চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানাল নাইসেড। এদিনে, নাইসেড এখনও পর্যন্ত  মাত্র সাড়ে তিনশোজন স্বেচ্ছাসেবী পেয়েছে। সূত্রের খবর, বয়স্ক অথচ কো-মরবিডিটি নেই এমন স্বেচ্ছাসেবকের অভাবে ভুগছে নাইসেড। তার ফলে বিলম্বিত হতে পারে ট্রায়াল।   

Advertisement

দেশের ২৪টি সেন্টারে ২৮ হাজার ৫০০ জনের উপর প্রয়োগ করা হবে কোভ্যাক্সিন। তার মধ্যে বাংলায় এক হাজার জন। বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু কোভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। তার আগে এদিন সকালে নাইসেডে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। দু’জনকে স্বাগত জানান অধিকর্তা ডঃ শান্তা দত্ত। নাইসেডে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জগদীপ ধনকড়। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করেনি বাংলার সরকার। আরও একবার রাজ্যের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি। এছাড়াও করোনা (Coronavirus) মোকাবিলায় রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ান। যদিও এদিন সকালে নিজের অবস্থান বদল করে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে’ পৌঁছাল বাংলার সরকার, কলকাতার প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন হালতুর মমতা]

কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের জন্য বয়স্ক অথচ কো-মরবিডিটি নেই স্বেচ্ছাসেবকের প্রয়োজন। তবে সূত্রের খবর, সেরকম পাওয়া যাচ্ছে না। নাইসেডের (NICED) অধিকর্তা জানিয়েছেন, মোট এক হাজারের জনের উপর কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সাড়ে তিনশো জনের মতো স্বেচ্ছাসেবক পাওয়া গিয়েছে। অনেকেই আবেদন করছেন। তাঁদের আদৌ কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করানো যাবে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার শর্তও জানান  তিনি। নিয়মানুযায়ী নাইসেডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যেতে পারে। ট্রায়ালের পর ৩০ মিনিট নাইসেডে থাকতে হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বেচ্ছাসেবককে ভরতি করা হবে হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে। স্বেচ্ছাসেবকদের নাইসেডের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হবে একটি ডায়েরি। তাতেই তাঁদের দৈনিক কার্যকলাপ লিখে রাখতে হবে। এছাড়াও প্রতি মাসে শারীরিক অবস্থার গতিপ্রকৃতি স্বেচ্ছাসেবককে নাইসেডে জানাতে হবে। এদিকে, এদিন বিকেল চারটের সময় কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশ নেবেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তার ফলে অনেকেরই কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার আগ্রহ বাড়বে বলে আশাবাদী নাইসেডের অধিকর্তা।

[আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুর জন্য রাস্তা এখনও খোলা, তবে না এলেও ক্ষতি হবে না’, বলছেন কৈলাস-দিলীপরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement