ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মালদার সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণ নিয়ে বিজেপির অভিযোগ খারিজ করল স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ওই কারখানায় কোনও বোমা তৈরি হচ্ছিল না বলে সাফ জানিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ করা হচ্ছে বলে বলেও টুইটারে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ মালদহের (Maldah) কালিয়াচক থানা এলাকার একটি প্লাস্টিক (Plastic) কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গুরুতর জখম আরও ৫ জন। এই ঘটনা নিয়ে দিনভর উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।
[আরও পড়ুন : ‘বাংলা বোমার কারখানা, সরকারের কোনও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ নেই’, মালদহ বিস্ফোরণ কাণ্ডে তোপ দিলীপের]
সুজাপুরের ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি লেখেন, ““এবার তো বোমা তৈরির কারখানাগুলি বন্ধ করুন।” দাবি জানান নিরপেক্ষ তদন্তের। পরে তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে একই অভিযোগ এনেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। বলেন, “এই সরকার যেদিন এসেছে তখন থেকেই একের পর এক বিস্ফোরণ হচ্ছে। বাংলা বোমা-বন্দুকের কারখানা হয়ে গেছে। বাইরে থেকে বিস্ফোরক আসছে, উগ্রপন্থী আসছে। এই সরকারের কোনও কিছুতেই কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এরা শুধু বিজেপিকে আটকাতে ব্যস্ত।” মালদহ বিস্ফোরণে ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সন্ধেয় সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানায়, “মালদার সুজাপুরের কারখানায় উৎপাদন সংক্রান্ত সমস্যার জেরে বিস্ফোরণ হয়। এর সঙ্গে বোমার কোনও সম্পর্ক নেই। সেখানে কোনও বোমা তৈরি হচ্ছিল না। কিছু অংশ থেকে দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।” সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার তদন্ত করে রাজ্যকে রিপোর্ট দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
[আরও পড়ুন : ‘এবার বোমা তৈরির কারখানাগুলি বন্ধ করুন’, মালদহ বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ রাজ্যপালের]
এ প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মালদহের সুজাপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানার প্রসেসিং মেশিনে এই কাজ চলাকালীন বিস্ফোরণ হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং ঘটনার পুরো তদন্ত করা হবে।” এদিন মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সকালেই বৈঠক করেন নবান্নে। বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। নিহতদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। সেই সঙ্গে আহতদের ৫০ হাজার টাকার দেওয়া কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য।