সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (WB Governor Jagdeep Dhankar)। দিল্লি সফরের আগে সোমবার কড়া ভাষায় চিঠি দিলেন তিনি। সেই চিঠিতে একদিকে যেমন হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। তেমনই গত ১৭ মে সিবিআই দপ্তরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। ওই দিনের ঘটনাপ্রবাহকে ‘গণতন্ত্রে নজিরবিহীন’ বলে কটাক্ষ করেছেন ধনকড়। সবমিলিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের একবার সম্মুখ সমরে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল। তবে ধনকড়ের এই চিঠি নিয়ে জবাব দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তর। তাদের দাবি, “কাল্পনিক তথ্যের ভিত্তিতে এই চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল। তাঁর ভূমিকা দেখে আমরা বিস্মিত।” মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি এভাবে প্রকাশ্যে আনা ‘অনুচিত’ বলেও দাবি করেছে স্বরাষ্ট্রদপ্তর।
সোমবার সকালেই রাজ্যপাল নিজেই জানিয়েছেন তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। তার আগে এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। টুইটারে সেই চিঠি পোস্টও করেছেন ধনকড়। সঙ্গে লিখেছেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নীরবতা ভাঙুক মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সামাল দিক তিনি। দুর্গতদের ত্রাণেরও ব্যবস্থা করুন। দ্রুত এ নিয়ে আলোচনায় বসুন মুখ্যমন্ত্রী।” এখানেই শেষ নয়, পরের টুইটে ধনকড় লিখেছেন, “রাজ্যে চরম রাজনৈতিক হিংসা, মহিলাদের উপর অত্যাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক বিরোধীদের উপর অত্যাচারের মতো ঘটনা ঘটছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় সবচেয়ে খারাপ সময় এবং গণতন্ত্রের পক্ষে অশুভ।” চিঠিতেও নির্বাচন পরবর্তী নিজের নন্দীগ্রাম, শীতলকুচি পরিদর্শনের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
[আরও পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে মুকুল রায়, মন্ত্রীর প্রয়াত মায়ের ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন]
একইসঙ্গে নারদকাণ্ডে দুই মন্ত্রী-সহ চারজনের গ্রেপ্তারির পর সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়েও ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে ওইদিন আপনি চারজনের মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন। ওই দিন যা যা ঘটেছে তা গণতন্ত্রে নজিরবিহীন ঘটনা।” এরপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন রাজ্যপাল। চিঠি নিয়ে তৃণমূলের প্রশ্ন, “এতদিন পর হঠাৎ সিবিআই দপ্তরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে কেন সরব হচ্ছেন রাজ্যপাল? এটা তো আদালতের বিচারাধীন বিষয়।”
[আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, জামাইষষ্ঠীতে ছুটি ঘোষণা রাজ্যের]
রাত গড়াতেই পরপর টুইট করে রাজ্যপালকে জবাব দেয় স্বরাষ্ট্রদপ্তরও। তাদের প্রশ্ন, কেন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠি প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যপাল। তাঁর এহেন আচরণ অনুচিত বলেও দাবি করেছে তাঁরা।