সুব্রত বিশ্বাস এবং শেখর চন্দ্র: কয়লাপাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) সিবিআই ব়্যাডারে রাজ্যের আইনমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। কলকাতা এবং আসানসোল মিলিয়ে মন্ত্রীর মোট ৭ বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এদিকে বিবাদি বাগের মন্ত্রী আবাসনে ঢুকে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন সিবিআই কর্তারা। এদিকে মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির প্রতিবাদে পথে নেমেছেন তৃণমূল সমর্থকরা। আসানসোলের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে জেরা পর্ব। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত সেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিন সকালে আটটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে ৬টি গাড়ি মন্ত্রীদের আবাসনে পৌঁছয়। সেখানেই মন্ত্রীকে জেরা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিন বিক্ষোভের জের, আগামী ৭ দিন বর্ধমান-হাওড়া রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন]
এদিন সকালেই মন্ত্রীর ৭ বাড়িতে একসঙ্গে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা (CBI)। আসানসোলের চেলাডাঙা, আপকার গার্ডেন ইস্ট এবং আপকার গার্ডেন ওয়েস্টের বাড়ি, অফিস এবং দলীয় কার্যালয়ে চলছে তল্লাশি। আপকার ওয়েস্টের বাড়িতে সস্ত্রীক মন্ত্রীর বাস। সেখানে আপাতত মন্ত্রীর স্ত্রী রয়েছেন। সেই বাড়িতে যখন তল্লাশি চলছে ঠিক সেখান থেকে ৫০ মিটার দূরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, বিজেপির ইঙ্গিতে সিবিআই কাজ করছে। মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে। পুরোটাই রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আপকার গার্ডেনের বাড়িতে লকার ভেঙে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তবে সেখান থেকে এখনও কিছু উদ্ধার হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
কলকাতায়ও মন্ত্রীর তিনটি বাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে লেক গার্ডেন্সে রয়েছে ২টি বাড়ি। সেখানের একটি বাড়িতে থাকেন মন্ত্রীর ছেলে এবং তাঁর বউ। সেখানেও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। তালা ভাঙার কারিগরকেও সেখানে ডেকে আনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি মন্ত্রীদের আবাসনে ঢুকে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে চলছে জেরা।
[আরও পড়ুন: বাগুইআটি জোড়া হত্যা: ১৮ আগস্টই অতনুকে খুনের ছক ‘খুনি’র! বন্ধুর চিৎকারেই সেবারে রক্ষা]
কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। তাদের লাগাতার জেরা করে নিত্যনতুন তথ্য উঠে আসছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেই সূত্রে ধরেই রাজ্যের আইনমন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে বলে খবর। সেই সূত্র ধরেই নথির খোঁজে আসানসোলের বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।