সুমন করাতি, হুগলি: প্রথম থেকেই প্রথমে! ছোটবেলা থেকে দ্বিতীয় হতে শেখেনি হুগলির তপজ্যোতি মণ্ডল। প্রত্যেকবারই সব পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে সে। পড়াশোনাই ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। আর এই অধ্যবসায়ই জীবনের বড় পরীক্ষায় সাফল্য এনে দিল তপৎজ্যোতিকে। তবে প্রথম নয় এই বছরের মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে সে।
বৃহস্পতিবার চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াকে টেক্কা দিয়ে মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে হুগলির আরামবাগ কামারপুকুরের তপজ্যোতি। ৯৮.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কামারপুর রামকৃষ্ণ মিশনের এই ছাত্র। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ দেখে সে। তপজ্যোতির কথায়, সারাদিন বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকতে বারণ করতেন বাবাই।
[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে কালিম্পং, কত নম্বরে কলকাতা?]
দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়িতে মা-বাবার কাছেই পড়াশোনা করত তপজ্যোতি। তাই ছেলে যে ভালো রেজাল্ট করবে সেনিয়ে আশবাদী ছিলেন বাবা সব্যসাচী মণ্ডল ও মা অদিতি মণ্ডল। পেশায় তাতারপুর হাই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক সব্যসাচীবাবু ছেলের সাফল্য নিয়ে জানান, ছেলে যে ভালো রেজাল্ট করবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। এক থেকে দশের মধ্যে যে তপজ্যোতি থাকবে সেই আশাও ছিল। আর সেই প্রত্যাশা মতোই চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ছেলের নাম। গান-বাজনা ও কবিতা লেখার প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে তপজ্যোতির। ক্লাস ওয়ান থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি গান গাওয়া তার অন্যতম সখ। বই পড়ার পাশাপাশি কবিতার বইও তপজ্যোতির পছন্দ।