শেখর চন্দ, আসানসোল: রাজ্যে ক্রমাগত ইডি-সিবিআই অভিযান নিয়ে মুখ খুললেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার (Pradip Majumder)। বললেন, “ইডি-সিবিআই অভিযান পঞ্চায়েত ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না।” এদিকে অনুষ্ঠানে গিয়ে মঞ্চের উপর প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মীকে দেখে মেজাজ হারালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)।
সদ্যই রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন প্রদীপ মজুমদার। আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে তৃণমূলের তরফে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার সেখানে যান মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ও টিএমসিপি জেলা নেতৃত্ব। এদিনের অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে প্রশ্ন করা হয়, ইডি সিবিআই অভিযান পঞ্চায়েত ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে কিনা? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রভাব পড়বে না কারণ ভোট মানুষের সমর্থনে হয়। মানুষের সুবিধা-অসুবিধার বিচারে হয়। আমরা যে সুবিধা দিতে পেরেছি প্রতিটি ক্ষেত্রে তা মানুষ উপলব্ধি করেছেন। এখন অপপ্রচারের সময় মনে একটা কনফিউশন আসে। সেখানেই তো আমাদের দায়িত্ব। আমার সহকর্মীরা সেই কাজটাই করবেন। যে উপকারটা মানুষ পেয়েছেন, তা আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেবেন।”
[আরও পড়ুন: বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি, মদ্যপ যাত্রীদের তাণ্ডবে পূর্বস্থলীতে নৌকাডুবি, মৃত ১]
মন্ত্রীকে আরও প্রশ্ন করা হয়, “এই যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার সে নিয়েও কি কোনও প্রভাব পড়বে না?” পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কথায়, “বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার নিয়ে আমার জ্ঞান নেই। আমি কোনও মন্তব্য করব না। কার টাকা, কার কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে, তার সঙ্গে নেতৃত্ব কীভাবে যুক্ত হচ্ছেন, এগুলো এখন সবই বিচারাধীন। সংবাদমাধ্যম যেভাবে তুলে ধরছে, সেটুকুই আমরা দেখছি।
এদিকে এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে ছাত্রপরিষদের নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখে মেজাজ হারান মলয় ঘটক। বলেন, “মঞ্চে উঠতে গেলে যোগ্যতা লাগে।” তাঁর কথায়, “একটা দল, একটা সংগঠন তখনই শক্তিশালী হতে পারে যখন সেই দল বা সংগঠনের মধ্যে শৃঙ্খলা থাকে। আমরা এসেই দেখলাম স্টেজের উপর প্রায় ৩০০ লোক। কিন্তু স্টেজে ওঠার জন্য যোগ্যতা লাগে। সেই যোগ্যতা যেদিন অর্জন করবেন, সেদিন আপনাকে ডেকে নেওয়া হবে। নিজের সেই স্থান গ্রহণ করার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।” মন্ত্রীর এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ঘটনায় বারবার নাম জড়িয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের, বিতর্কে জড়িয়েছেন তাঁরা। বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের সঙ্গে মন্ত্রীদের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তা নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়াও হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সেই কারণেই কি এবার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন মন্ত্রী?