সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় সারা দিন অশান্ত ভাঙড় (Bhangar) ঘুরে দেখেছেন। আর বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল। সাফ বললেন, ”বাংলার জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। কোনও অশান্তি এখানে বরদাস্ত হবে না। যারা অশান্তি করছে, তাদের ঠাঁই হবে গারদের পিছনে।” রাজ্যপালের এহেন বার্তা অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে হালকা চালেই বলেন, ”এই প্রবল গরমে গলাবন্ধ কালো কোট পরে ওখানে গিয়েছেন। ফলে ঠান্ডা মাথায় কিছু করা সম্ভব হয় না।”
বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাঙড়। আইএসএফ-তৃণমূলের সংঘর্ষে প্রাণ যায় ৩ জনের। সেই খবরে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। আর শুক্রবার বেলার দিকে ভাঙড়ে পৌঁছে যান সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। বৃহস্পতিবার যেখানে যেখানে অশান্তি হয়েছে, তার প্রতিটি জায়গায় নিজে পা রেখে সরেজমিনে খোঁজখবর নেন। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন, পুলিশ আধিকারিকদের থেকে খোঁজ নেন রাজ্যেপাল। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে কড়া বার্তা দেন। জানান যে হিংসা করলেই তার স্থান হবে গারদের পিছনে।
[আরও পড়ুন: ‘মণিপুরের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে’, মেনে নিলেন মোদির মন্ত্রী]
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ”এই প্রবল গরমে গলাবন্ধ কালো কোট পরে গিয়েছেন। ফলে ঠান্ডা মাথায় কিছু করা সম্ভব হয় না। তাই পক্ষপাতদুষ্ট কিছু আচরণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। এত বড় নির্বাচন, এত বুথ। সেখানে এই গোলমাল করছে কারা? আইএসএফ, বিজেপি আর বিরোধীরা। সেখানে রাজ্যপাল এমন বিবৃতি দিচ্ছেন যেন তৃণমূল করছে সব। পাশের রাজ্য মণিপুর দেখেছেন? উপনিষদের মতো বাণী দিলে হবে? কোথাও কিছু গোলমাল হবে আমরা জানি, সেসব নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কিন্তু যতক্ষণ রাজ্যপাল এইভাবে ঘুরবেন ততক্ষণ এই ধরনের বিবৃতি দেবেন।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”৯৯.৯৯ শতাংশ এলাকায় শান্তিপূর্ণ কাজ হচ্ছে। অবাধে বিরোধীরা মনোনয়ন দিয়েছেন। রাজ্যপালের উচিত ৬০,৯০০ উপর বুথ। আমাদের ছেলেরা মারা যাচ্ছেন। রাজ্যপাল উসকানি দিচ্ছেন। আগুনে ঘি ঢেলেছেন। দিল্লির দূত হিসাবে দিল্লির প্রচারক হিসাবে কাজ করছেন।”