রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সোমনাথ রায়: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় অশান্তি, রক্তপাত, প্রাণহানি। রাজ্যের শাসকদলের ‘দৌরাত্ম্যে’ মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বলেই দাবি বিজেপি-সহ বিরোধীদের। এমনকী বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ নিজের সংসদীয় এলাকায় প্রার্থী দিতে পারেননি বলেও অভিযোগ।
অশান্তির কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। এদিকে, হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠাচ্ছে জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের। প্রয়োজনে নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার পরামর্শ জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের।
[আরও পড়ুন: আইএসএফের মদতে অশান্তি ভাঙড়ে, চোপড়ায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়, বললেন মুখ্যমন্ত্রী]
জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের বক্তব্য, “গত ১ মাস ১০ দিনে মোট ৬জন খুন হয়েছেন। সকলেই তফসিলি জাতিভুক্ত। বাংলায় ২২ শতাংশ তফসিলি জাতিকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতেই চক্রান্ত করছে শাসকদল। তফসিলি জাতির দুই বিধায়ককে মারধর করা হয়েছে। বেছে বেছে তফসিলি জাতিকে টার্গেট করা হচ্ছে।”
নিরাপত্তা দিতে না পারলে প্রয়োজনে পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ রাখার পরামর্শ তফসিলি জাতি কমিশনের। সূত্রের খবর, দিল্লিতে তলব করা হতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেও। শুক্রবার নদিয়ায় আসছেন জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের।