গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আবহে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ভোটের ফলপ্রকাশের পরও সেই অশান্ত পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আদালত। তাই ফলপ্রকাশের পর ১০ দিন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক রাজ্যে। আর সেই মর্মে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাক রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনই প্রস্তাব কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC)। পাশাপাশি ভোটের আগেরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধের মধ্যে বাহিনীকে যথাযথ জায়গায় মোতায়েন করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) যে সংখ্যক বাহিনী ছিল, তা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কমিশন জানিয়েছেন, এর মধ্যেই বাকি বাহিনী পৌঁছে যাবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, অসম থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)সরাসরি মুর্শিদাবাদ জেলায় পৌঁছে যাবে। আদালত কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে তাঁদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। কারণ, জওয়ানরা ক্লান্ত। এত রাস্তা সফর করে আসছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরপত্র ও মেধাতালিকা প্রকাশের আরজি, ফের কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ ববিতা সরকার]
বৃহস্পতিবার বাহিনী সংক্রান্ত শুনানিতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে জানান, সারা দেশ থেকে বাহিনী আসছে পশ্চিমবঙ্গে। তাই ১৮ জুলাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চাওয়া বাহিনী কতটা পৌঁছতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানান। প্রধান বিচারপতি অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশ্যে বলেন, ”আপনারা চেষ্টা করুন যাতে আগামিকাল সন্ধের মধ্যেই সমস্ত বাহিনী পৌঁছে যায়।” সলিসিটার জেনারেল জানিয়েছেন, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে সময় মতো বাহিনী পৌঁছে যেতে পারে। তবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে যেহেতু বাহিনী আসছে, তাই যেখানে তাঁদের মোতায়েন করা হবে সেই সংশ্লিষ্ট জেলায় সরাসরি পৌঁছে গেলে বাহিনীর পক্ষে অনেকটাই সুবিধা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘চারদিকে বামেরা জিতবে’, মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন খোদ ‘রাজ্য সরকার’]
এদিন আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে মোতায়েন হবে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আইজি, বিএসএফ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এ ব্যাপারে তাঁকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। বাহিনী মোতায়েনের বিষয় আইজি, বিএসএফ, কমিশন ও পুলিশ সমন্বয় সাধন করে মোতায়েন করবে। এই বিষয় আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। বাতিল ব্যালটে প্রিসাইডিং অফিসারকে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, কোথাও থেকে যেন কোনও অভিযোগ না আসে, তার জন্য সব চেষ্টা করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।