সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Poll) সামনে রেখে পূর্ণাঙ্গ প্রচার সূচি প্রকাশ করেছে রাজ্য বিজেপি। প্রকাশিত হয়েছে পদ্ম শিবিরের ইস্তেহারও। আর তা প্রকাশিত হতেই শুরু হয়েছে নতুন সমালোচনা। দেখা যাচ্ছে, ইস্তেহার পত্র কিংবা প্রচার সূচিতে কোথাও নেই বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখ। তাঁর জায়গায় বেশি জায়গা পেয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিষয়টি নিয়ে যতই শোরগোল হোক, দিলীপ ঘোষ নিজে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে তিনি জানালেন, এই ভোটে রাজ্যের নেতারাই প্রাধান্য পান। তিনি রাজ্য নেতৃত্বের কোনও পদে না থাকায় ছবিতে তাঁর মুখ নেই। যতদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন, ততদিন প্রচারে তাঁর মুখ প্রাধান্য পেত।
বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা আলোচনার বিষয় হতেই পারে। তাঁকে আচমকা রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় একাধিক মত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, তাঁর জায়গায় সুকান্ত, শুভেন্দুকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তেমনই। প্রচার সূচি বা ইস্তেহারপত্রে কোথাও নেই দিলীপ ঘোষের নাম বা ছবি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। অপরদিকে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী।
[আরও পড়ুন: খুন নাকি আত্মহত্যা? ভোটের আগে BJP বুথ সভাপতির রহস্যমৃত্যুতে সবংয়ে চাঞ্চল্য]
তবে কি নির্বাচনী রাজনীতিতে তিনি ক্রমশই ব্রাত্য হচ্ছেন? না, তেমনটা কিন্তু নয়। ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে দিলীপ ঘোষ ফোনে জানান, ”আমি যতদিন রাজ্য সভাপতি ছিলাম, ততদিন আমার মুখই থাকত। এখন তো আমি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তাই আমার মুখ বা নাম নেই। এসব নির্বাচনে সাধারণত রাজ্য নেতৃত্বের দায়িত্বেই হয়। অমিত শাহজি তো আমাদের দলকে গড়েছেন। কিন্তু কোথাও দেখেছেন তাঁর ছবি? মোদিজি, নাড্ডাজির ছবিই তো থাকে। এটা দলের নিয়ম। এনিয়ে সমালোচনার দরকার নেই।”
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থী সিভিক ভলান্টিয়ার! রিপোর্ট তলব বিচারপতি সিনহার]
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রতিক্রিয়া, ”ওকে বাদ দিয়েছে দল। দিলীপ-শুভেন্দু দূরে দূরে বসে। যেন ভাসুর-ভাদ্রবউ সম্পর্ক। দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোক স্বাস্থ্যসাথী পেয়েছে। উনিও বাস্তবটা জানেন। সুকান্ত নিজের ওয়ার্ড জিততে পারে না।”