শুভঙ্কর বসু: বঙ্গে চতুর্থ দফার নির্বাচনে (WB Elections 2021) শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন চারজন তৃণমূল কর্মী। এছাড়া আহত হয়েছিলেন আরও চারজন। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে এবার আক্রান্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করতে রাজ্য সরকারকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল নির্বাচন কমিশন।
শনিবার ভোটের দিন শীতলকুচির ঘটনায় মৃত এবং আহতদের আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। যেহেতু নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি রাজ্যে লাগু রয়েছে। তাই সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি চাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শর্তসাপেক্ষে অনুমতিও দেওয়া হয়। আর এর ফলে শীতলকুচির ঘটনায় নিহতদের পরিবারের লোকেরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, আহতরা পাবেন দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। তবে শর্ত অনুযায়ী, এই আর্থিক সাহায্যের কথা কোনওভাবেই ভোটের প্রচার চলাকালীন বলা যাবে না। শুধু তাই নয়, ক্ষতিপূরণের টাকা জেলাশাসকের পক্ষ থেকে নিহত এবং আহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি’ মন্তব্যের জের, দিলীপ ঘোষের বহিষ্কারের দাবিতে সরব অভিষেক]
এর আগে শনিবারই শীতলকুচির ঘটনার খবর পেয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিনই ওই এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। সেই কারণে সকালে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ভিডিও কলে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি আগামী ১৪ এপ্রিল শীতলকুচি গিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি। ঘটনাকে গণহত্যা বলে মন্তব্যও করেন মমতা। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দলের তরফে তহবিল তৈরি করা হবে। প্রত্যেকে তাতে ১০০ টাকা দেবেন। সেই অর্থ তুলে দেওয়া হবে মৃত ও আহতদের পরিবারের হাতে। এরপরই জানান, ভোট চলাকালীন রাজ্য সাহায্য করতে পারে না। সেই কারণে রাজ্যের তরফে কমিশনের কাছে সাহায্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আর এবার কমিশন রাজ্যের সেই আবেদনেই সাড়া দিয়ে আর্থিক সাহায্যের অনুমতি দিল।