ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তাপস রায়ের ইস্তফাপত্র এখনই গ্রহণ করলেন না বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ঝুলেই রইল বিধায়ক পদ থেকে বরাহনগরের বিধায়কের পদত্যাগ। পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে ইস্তফাপত্রে, তাই তা গৃহীত হয়নি। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার মধ্যে নতুন করে ইস্তফাপত্র দিতে হবে তাঁকে। তবে কি তাপসের বিজেপিতে যোগ দেওয়া আটকে গেল, উঠছে প্রশ্ন।
এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তাপস রায় জানান, “গ্রহণ হোক বা না হোক, আমি ইস্তফা দিয়ে দিয়েছি। যে যে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি সেগুলো ফেরানোর কোনও প্রশ্ন নেই। পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, কাল আমি নতুন করে ইস্তফাপত্র জমা করব।” ফলে তাঁর বিজেপিতে যোগদান কোনওভাবেই আটকাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, ইস্তফাপত্র টাইপ করে জমা করেছিলেন বরাহনগরের বিধায়ক। নিয়ম বলছে, হাতে লিখে জমা করতে হয় ইস্তফাপত্র। বৃহস্পতিবার হাতে লিখেই পদত্যাগপত্র জমা করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাংলার প্রত্যেক মা, বোন আমার পরিবার’, বারাসতের মঞ্চ থেকে দৃপ্ত ঘোষণা মোদির]
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে বউবাজারের বাড়িতে যান তাপস। তার আগে দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেন, “ক্ষোভ-বিক্ষোভ বলার জায়গা ছিল না। কাকে বলব, কে শুনবে, কে ব্যবস্থা নেবে-কিছুই ঠিক নেই। আগে তৃণমূলের অবস্থা এরকম ছিল না। দলে অপমানিত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত ছিলাম। কিন্তু কাকে বলব? শোনার কেউ ছিল না। শ্বাসরোধ হয়ে আসছিল আমার।”
প্রসঙ্গত, বাড়িতে ইডি হামলা নিয়ে দলনেত্রীর নীরবতায় অভিমান জমেছিল তাপস রায়ের মনে। যার জেরেই তৃণমূলের সঙ্গে দু দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বরানগরের প্রাক্তন বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। সোমবার বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পাশাপাশি দলেরও সমস্ত পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও বিধায়ক পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ এখনও গৃহীত হয়নি।