নব্যেন্দু হাজরা: গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে নতুন বছরে চালু হচ্ছে ওয়েভার স্কিম। নির্দিষ্ট একমাসের মধ্যে ট্যাক্স, পারমিট এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট সংক্রান্ত বকেয়া টাকা জমা করলে জরিমানা মকুব করা হবে। শুধুমাত্র ট্যাক্স মিটিয়ে দিলেই হবে। কোনও জরিমানা মেটাতে হবে না। তবে শুধু একমাস নয়, পরবর্তীতেও ওয়েভারের কিছুটা সুবিধা মিলবে। সেক্ষেত্রে জরিমানার পুরোপুরি ছাড় মিলবে না। একটা নির্দিষ্ট শতাংশের হিসাবে কিছুটা জরিমানা মেটাতে হবে।
পরিবহণ দপ্তরসূত্রে খবর, রাজ্যে চলা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ গাড়ির মধ্যে ৬৫ শতাংশ গাড়িরই ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। জরিমানা ধরলে যার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সরকার মনে করছে, জরিমানা মকুব করে শুধু বকেয়া ট্যাক্স, সিএফের ফিস এবং পারমিটের পুনর্নবীকরণের টাকা যদি পাওয়া যায়, তাহলেও সরকারি কোষাগারে আসবে ২২০০ কোটি টাকা। যার পরিমাণটাও অনেকটাই। সাধারণ মানুষ জমে থাকা জরিমানার ভয়ে মূল করের টাকাও দিচ্ছে না। ফলে সরকারের কোষাগারে টাকা তো আসছেই না। উলটে বকেয়া করের টাকা বেড়ে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত! রণবীর-সহ গোটা কাপুর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের]
নবান্নের এক কর্তার কথায়, লাখ লাখ গাড়ির ট্যাক্স, সিএফের ফিস বাকি রয়েছে। এত গাড়িকে পুলিশ এবং মোটর ভেহিকেলস ইন্সপেক্টরদের পক্ষে রোজ ধরে জরিমানা আদায় করাও সম্ভব নয়। ফলে এই সমস্ত গাড়ি থেকে একদিকে যেমন সরকারের কোনও আয় হচ্ছে না। তেমনই গাড়িও ধরা যাচ্ছে না। তাই রাজ্যের তরফে ওয়াভারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সম্মতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার কথায়, যে কয়েকলক্ষ গাড়ির কর বাকি, তারমধ্যে বেশিরভাগই পণ্যবাহী। বাকি বাস থেকে স্কুলবাস সবই রয়েছে সেই তালিকায়। তাতে উল্লেখ থাকবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত গাড়ির কর এবং বিভিন্ন ফি বাকি রয়েছে, সেগুলোকে ১ জানুয়ারি থেকে একমাসের মধ্যে জমা করলে জরিমানা সম্পূর্ণ মকুব হবে। তার পর করলে পুরোপুরি মকুব হবে না। জরিমানার একটা অংশ তখন দিতে হবে। শুধু বানিজ্যিক এবং পণ্যবাহী যানই নয়, ওয়েভারের সুযোগ নিতে পারবে প্রাইভেট গাড়ির মালিকরাও।